ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

হরকত-উল জিহাদকে জঙ্গি দল বলে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের ঘোষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০১০
হরকত-উল জিহাদকে জঙ্গি দল বলে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের ঘোষণা

ওয়াশিংটন: জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার পাকিস্তানের হরকত-উল জিহাদ আল-ইসলামিকে বিদেশী সন্ত্রাসী দল বলে ঘোষণা করেছে। একইসঙ্গে দলটির শীর্ষ নেতাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলেও যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ জানিয়েছে।



হরকত এর শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াস কাশ্মিরীকে “বিশেষভাবে চিহ্নিত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী” বলে আখ্যায়িত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এখতিয়ারের আওতার মধ্যে থাকা ইলিয়াস কাশ্মিরীর সকল সম্পদ জব্দ করা হবে। কালো তালিকাভুক্ত হিসাবে “তাঁর সঙ্গে সকল মার্কিন নাগরিকের লেনদেন ও নিষিদ্ধ” বলে ঘোষণা করা হয়েছে।  

এদিকে ব্যক্তিগত ও দলীয়ভাবে আল-কায়েদা ও তালেবান জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার অভিযোগে হরকত-উল জিহাদ আল-ইসলামি (হুজি) ও দলটির নেতা কাশ্মিরীকে কালো তালিকাভুক্ত করার সংবাদটি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্যানেল নিশ্চিত করেছে।

জঙ্গি দলের নেতা হিসেবে কাশ্মিরী (৪৬) “আল-কায়েদার সন্ত্রাসী হামলায় লোকবল ও সরঞ্জামাদি দিয়ে সাহায্য করাসহ এসব অভিযানে সমর্থন দিয়ে থাকে” বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানান।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘টেরোরিজম অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সের’ সহকারী সচিব স্টুয়ার্ট লেভি বলেন, “এর মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বের নিরাপরাধ মানুষের জন্য হুমকী হিসেবে দেখা দেওয়া আল-কায়েদা ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ যৌথভাবে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিলো। ”

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাসবাদবিরোধী সমন্বয়কারী ড্যানিয়েল বেঞ্জামিন বলেন, “হুজি ও আল-কায়েদার মধ্যে সংযোগের বিষয়টি এখন পরিষ্কার আর আজকের ঘোষণার মধ্য দিয়ে এসব সংস্থাগুলোর মধ্যকার কার্যকরী সম্পর্ক প্রকাশিত হলো। ”

সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে হুজি অভিযান চালালেও মূলত ভারত ও পাকিস্তানেই এ দল বেশি সক্রিয় বলে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানানো হয়।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ আইন ১২৬৭ এর আওতায় ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে জাতিসংঘের এ কালো তালিকা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর উদ্দেশ্য ছিলো তালেবান নিয়ন্ত্রানাধীন আফগানিস্তানে ওসামা বিন-লাদেনের চরমপন্থী দলকে সমর্থন দেওয়ার কারণে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করা ।

এ আইনের আওতায় জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র আল-কায়েদা, বিন লাদেন বা তালেবান জঙ্গিদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণে যেকোনো ব্যক্তি ও দলের ভ্রমণ, সম্পদ ও অস্ত্রের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময: ১৬৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।