ঢাকা: সবুজ বাতি মানে ‘যাও’। হলুদ বাতি মানে ‘ধীরে চলুন’, আর লাল বাতি মানে থামুন! তাহলে লাল বাতি দেখেও বাবা গাড়ি দাঁড় করালেন না কেন? পুরো রাস্তা যেন এই কথাগুলো ঘুরপাক খাচ্ছিল ৬ বছরের বালকটির মাথায়।
বাড়িতে ফিরে খেলার সময় হঠাৎই চোখে পড়লো তার খেলনা গাড়ির পাশে লেখা একটি নম্বর। ৯১১। ওয়াশিংটন পুলিশের আপদকালীন নম্বর। ব্যস, ল্যান্ডফোন ঘুরিয়ে সোজা ওয়াশিংটন পুলিশের কন্ট্রোল রুমে ফোন।
কল রিসিভ বলেও বালক তার কথাটি ঠিকভাবে বোঝাতে পারছিল না। আধো আধো কণ্ঠে শেষ পর্যন্ত বলেই ছাড়লো তার বাবার ট্রাফিক সিগন্যাল না মানার কথা।
ওপাশ থেকে পুলিশের কর্তারা প্রথমে ব্যাপারটিকে ছেলেমানুষি হিসেবে নিলেও পরে খুদে অভিযোগকারীর চাপাচাপিতে তারা ঘটনাটি শুনতে বাধ্য হন। এরপর খোদ বালকের বাবাই স্বীকার করে নেন তার ভুলের কথা।
এই খুদে অভিযোগকারীর নাম রবি। তার বাবার নাম রিচার্ডসন। ওয়াশিংটনের বাসিন্দা রবি সেদিন বাবার গাড়িতে বসে বাসায় ফিরছিল। তখন দেখা যায়, রাস্তা ফাঁকা দেখে লাল বাতি জ্বলা সত্ত্বেও বাবা থামেননি। সরাসরি চলে আসেন বাড়িতে। কিন্তু পুলিশকে ফাঁকি দিলেও রিচার্ডসন ফাঁকি দিতে পারেননি ছেলের চোখকে।
সেই ছেলেই পুলিশকে ফোনে জানিয়ে দেয় তার নিয়ম ল্ঙ্ঘনের কথা। পরে ট্রাফিক পুলিশের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিস্তার পান রিচার্ডসন। একইসঙ্গে ছেলেকে কথা দেন, ‘আর কখনো এরকম হবে না’ বলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৬
এইচএ/