এর আগে সোমবার পর্যন্ত দুটি মরদেহ, ২টি ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার (ব্ল্যাকবক্স) এবং ফিউসেলেজের অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয়।
দুর্ঘটনাস্থল ও এর আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অবস্থায় এসব দেহাংশ ও উড়োজাহাজের খণ্ডাংশ পাওয়া যায় জরুরি মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রুশ বার্তসংস্থা স্পুৎনিক ও ইতার তাস মঙ্গলবার জানায়।
ঘন তুষারের কারণে উদ্ধারকাজ চালানো খুবই কঠিন। কোনো কোনো স্থানে কোমরসমান উঁচু তুষার ঠেলে উদ্ধারকাজ চালাতে হচ্ছে। যাত্রীদের দেহাংশ ও উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ সবই এখন ‘তুষারের কবরের নিচে’ ঢাকা পড়ে আছে।
দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই চলছে উদ্ধারকাজ। টানা এক সপ্তাহ এই উদ্ধারকাজ চলবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভেরোনিকা স্কাভোর্তসোভা।
দুর্ঘটনাস্থলে ১০০-র বেশে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম নিয়ে কয়েকশ বিশেষজ্ঞ তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা ধ্বংসাবশষের খোঁজা করার পাশাপাশি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এন-১৪৮ বিমানটির দুর্ঘটনার জন্য দায়ী আসল কারণ এখনো চিহ্নিত করা সম্ভব না হলেও তদন্তকারীরা বেশ ক’টি সম্ভাব্য কারণ মাথায় রেখে এগোচ্ছেন। এগুলো হচ্ছে, পাইলটের ভুল বা গাফিলতি, সন্ত্রাসী হামলা, কোনো হেলিকপ্টার বা আকাশযানের সঙ্গে সংঘর্ষ, ইঞ্জিনের বিস্ফোরণ এবং বৈরি আবহাওয়া।
বেসরকারি সারাতভ এয়ারলাইন্সের এই যাত্রীবাহী এন-১৪৮ আন্তোনভ উড়োজাহাজটি রোববার বিকালে ৬৫ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু নিয়ে মস্কোর দোমোদেদোভো এয়ারপোর্ট থেকে পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র কাজাখস্তান সীমান্তের কাছের অরস্ক শহরে যাচ্ছিল।
উড়াল দেবার দু'মিনিটের মাথায় এটি র্যাডারের আওতার বাইরে চলে যায়। মিনিটকয় পর এটি মস্কোর ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পুবের আরগুনোভো গ্রামের কাছে বিধ্বস্ত হয়। এতে সব আরোহীর মৃত্যু হয়।
প্রচণ্ড ঠাণ্ডা, তীব্র তুষারপাত ও প্রবল বাতাস উপেক্ষা করে উদ্ধারকারীরা দিনরাত একটানা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। পুরো এলাকাটি পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ড বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছেন। উদ্ধারকাজে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে।
জরুরি মন্ত্রণালয় সোমবার নিহত ৭১ আরোহীর সবার নামের তালিকা প্রকাশ করে। মস্কো নগর কর্তৃপক্ষ নিহতদের জন্য একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক এবং ঐতিহ্যবাহী মাসলেনিৎসা উৎসব কর্মসূচি বাতিল ঘোষণা করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮
জেএম