বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, দলের শীর্ষ নেতারা এ নিয়ে বেশ ক’দিনের ম্যারাথন বৈঠক শেষে মঙ্গলবার ভোরে এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সকালেই লিখিতভাবে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয়া হয়েছে জ্যাকব জুমাকে।
এএনসি মহাসচিব এইস মেগাশুলে সকালেই প্রেসিডেন্ট জুমার প্রিটোরিয়ার বাসভবনে চিঠিটি পাঠিয়ে দেন।
চিঠিতে জানানো হয়, দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির (এনইসি) বৈঠকে হাজির হয়ে তাকে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করতে হবে। নইলে ৭৫ বছর বয়সী এই নেতাকে পার্লামেন্টে অনাস্থার মুখোমুখি হতে হবে। যেখানে জেতার ক্ষীণতম আশাটুকুও তার নেই। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি বা তারও আগে এই অনাস্থা ভোট হতে পারে।
২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই একের পর এক দুর্নীতি ও নানাবিধ কেলেঙ্কারিতে জড়িত বর্ষীয়াণ এই নেতা।
অনেকের ধারণা, জ্যাকব জুমাকেও তার পূর্বসূরী থাবো এমবেকির মতো ক্ষমতা থেকে লজ্জাজনকভাবে বিদায় নিতে হবে। বলাবাহুল্য, জ্যাকব জুমা থাবো এমবেকির ডেপুটি ছিলেন। পরে তিনি এমবেকির স্থলাভিষিক্ত হন।
কিন্তু দুর্নীতি অনিয়ম আদালতে প্রমাণ হবার পর দলের নেতাদের বারংবার অনুরোধ সত্ত্বেও প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়বেন না বলে জানিয়ে দেন জুমা। একইসঙ্গে দুর্নীতিও সমান তালে চালিয়ে যেতে থাকেন। এভাবে তিনি দলের ভাবমূর্তির জন্য বড় হুমকিতে পরিণত হন। এ অবস্থায় দল তাকে আর ছাড় দিতে রাজি নয়। সামনের নির্বাচনকে সামনে রেখে এএনসি চায় জুমাকে সরিয়ে ক্লিন ইমেজ ফিরিয়ে আনতে।
দলের সিদ্ধান্ত মেনে তিনি তার পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮
জেএম