ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ সামরিক উপদেষ্টা হাসান ফিরোজাবাদী এই অভিযোগ করেন।
সাম্প্রতিককালে বেশকিছু পরিবেশবাদীকে গ্রেফতার করে ইরান।
হাসান ফিরোজাবাদী বলেন, ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু স্থাপনার বিষয়ে এবং ইউরেনিয়ামের খনি ও মজুতের ব্যাপারে স্পর্শকাতর তথ্য সংগ্রহ করার জন্য পশ্চিমারা আদাজল খেয়ে নেমেছে। তারা জানতে চায় কোথায় কোথায় আমরা পরমাণু কার্যক্রম চালাচ্ছি।
এসব তথ্য সংগ্রহের জন্য তারা পর্যটক, বিজ্ঞানী ও পরিবেশবাদীদের কাজে লাগাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘বেশ ক’বছর আগে ফিলিস্তিনিদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহের জন্য কয়েকজন বিদেশি আমাদের দেশে আসেন...কিন্তু ইরানে ঢোকার জন্য তারা যে পথ বেছে নেন তা দেখে আমাদের মনে সন্দেহ জাগে। ’
এরপর তাদের ব্যাগ-বোচকা তল্লাশি করে গিরগিটি ও গিরগিটি জাতীয় বেশ কিছু প্রাণী পাওয়া যায়। এই প্রাণীগুলোকে এরা পরমাণু গোয়েন্দাগিরির কাজে ব্যবহার করছিল। পরে আমরা জানতে পারলাম গিরগিটির চামড়া আণব-তরঙ্গ আকর্ষণে সক্ষম।
তবে এসব গোয়েন্দা ও গুপ্তচর বৃত্তিতে পশ্চিমাদের চেষ্টা বারবারই ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
সম্প্রতি এক জার্মান যুগলও ইরানের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তিতে লিপ্ত অবস্থায় ধরা পড়ে। এই দুই নরনারী দুবাই ও কুয়েত হয়ে একটি মাছধরা নৌকা নিয়ে পারস্য উপসাগরে আসে। এদের উদ্দেশ্য ছিল আমাোেদর প্রতিরক্ষা সিস্টেমের বিষয়ে গোয়েন্দাগিরি করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
জেএম