তবে কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়, বর্বরোচিত এই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত করা হচ্ছে মাধ্যমিক স্কুলটির নিকোলাস ক্রুজ (১৯) নামে এক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীকে। আচরণ ও শৃঙ্খলাজনিত সমস্যার কারণে সম্প্রতি তাকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বর্বরোচিত কায়দায় এই হত্যাযজ্ঞ চালানোর পর অবশ্য তাকে আটক করে হেফাজতে নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বা শেরিফ স্কট ইসরায়েল বলেন, আটক ক্রুজকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এটা সত্যিই বিপর্যয়কর এবং আমাদের কোনো ভাষা নেই।
তিনি জানান, ক্রুজ প্রথমে স্কুলের বাইরে তিনজনকে গুলি করে মারেন। এরপর স্কুলে ঢুকে নির্বিচারে গুলি ছুড়ে হত্যা করেন আরও ১২ জনকে। গুলিবিদ্ধ কয়েকজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরও দু’জন। এদের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবক এবং স্থানীয় একটি ফুটবল টিমের কোচও রয়েছেন।
ক্রুজের বিশৃঙ্খল আচরণের বিষয়ে শেরিফ বলেন, আমরা তার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করছি। সেখানে এমন কিছু বিষয় দেখা গেছে...খুবই খুবই আপত্তিকর। ’
নিকোলাস বাল্টজার নামে ১৮ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী বলেন, তখন আমরা ত্রিকোণমিতি ক্লাসে করছিলাম। স্কুল ছুটির দুই মিনিট আগে বিপজ্জনক সংকেত বেজে ওঠে। এসময় শিক্ষার্থীরা এদিক-ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে। একেবারে কাছ থেকে ছয়টি গুলির শব্দ শোনা যায়।
হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ভয়াবহ এই ঘটনার শিকার পরিবারগুলোর জন্য আমার প্রার্থনা এবং সমবেদনা রইল। কোনো শিশু, শিক্ষক বা অন্য কেউ কখনো আমেরিকান স্কুলে অসুরক্ষিত বোধ করবেন না।
এর আগে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের একটি স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে ২৬ জনের মৃত্যু হয়। ওই হত্যাকাণ্ড চালান অ্যাডাম লানজা নামের ২০ বছর বয়সী এক তরুণ। পরে তিনি গুলিতে আত্মহত্যা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮
এইচএ/
** ফ্লোরিডার স্কুলে গুলিতে নিহত ১৭, বন্দুকধারী আটক