সেটা হলে নেতিবাচক ভাবমূর্তির পাশাপাশি দেশটি বড় ধরনের অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
অর্থপাচার নজরদারি প্রতিষ্ঠান ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ (FATF) সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আবারও তারা সন্ত্রাসের মদদ ও অর্থদাতা দেশের তালিকায় পাকিস্তানের নাম ওঠাবে।
তবে এফএটিএফ এ বিষয়ে দীর্ঘ বৈঠক শেষে যে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে তাতে পাকিস্তানের নামটি সরাসরি বলা হয়নি। তবে বিভিন্ন কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইসলামাবাদকে নজরদারি ও সন্দেহের জন্য নির্ধারিত ‘গ্রে’ বা ধূসর’ তালিকায় রাখা হয়েছে। এর মানে হচ্ছে, পাকিস্তান জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের দমনে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বরং এদের প্রতি সহানুভুতিশীল।
জুন মাসে সংস্থাটি আবার যখন বৈঠকে বসবে তখন এই তালিকা কার্যকর হবে। এমনটি হলে নানা খাতে বৈদেশিক সাহায্য ও ঋণ পেতে , আন্তর্জাতিক মুদ্রা লেনদেনে পাকিস্তানকে বেশ বেগ পেতে হবে। কোনো উন্নয়ন সহযোগীই তখন পাকিস্তানকে অর্থ সহায়তা দিতে চাইবে না।
আফগানিস্তানের সন্ত্রাসী ও জঙ্গি গোষ্ঠিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে ক্রমাগত চাপ দিয়ে যাবার যে ব্যাপক কৌশল হাতে নিয়ে, এফএটিএফর পদক্ষেপও তারই অংশ।
এফএটিএফ-এতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই প্রস্তাবটিও যুক্তরাষ্ট্রই এনেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ সন্ত্রাসবাদের পেছনে অর্থায়ন এবং জঙ্গিদের সহায়তার জন্য অর্থপাচার বন্ধে ইসলামাবাদ এখনও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অর্থপাচার বিরোধী নীতিমালা ও নিয়ম কানুনও পাকিস্তান ঠিকভাবে মেনে চলছে না।
এ কারণেই আবারও পাকিস্তানের নাম সন্দেহজনক রাষ্ট্রের তালিকায় রাখা হবে। এফএটিএফ (FATF) তালিকায় বা নজরদারির তালিকায় আবারও পাকিস্তানের নাম ওঠার অর্থ হলো, পাকিস্তানের অর্থনীতির জন্য এক বড় অশনি সংকেত।
এর আগেও পাকিস্তান ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এফএটিএফ (FATF)-র ওয়াচলিস্টে ছিল। তখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগটা ছিল অর্থপাচারের। সন্দেহ ও নজরদারির
এফএটিএফ (FATF) হচ্ছে আন্ত:সরকার একটি সংস্থা। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটি গঠন করা হয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ব্যবস্থাকে নির্বিঘ্ন সচল রাখতে এবং মুদ্রা পাচার, সন্ত্রাসে অর্থায়ন ইত্যাদি ঠেকাতে কাজ করে থাকে।
বাংলাদেশ সময়:...ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৮
জেএম