আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো ইকুয়েডোরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়া ফার্নান্দেস এসপিনোসার উদ্ধৃতি দিয়ে শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এখবর দিয়েছে।
খবরে বলা হয়, যুক্তরাজ্য আসাঞ্জের মুক্তির তথা তাকে গ্রেফতার এড়িয়ে দূতাবাস ছেড়ে যেতে দেয়ার বিষয়ে আলোচনায় বসতে কোনো আগ্রহ প্রকাশ করেনি।
এদিকে যুক্তরাজ্যের ফরেন অফিসের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে বলেন, মি. অ্যাসাঞ্জ বিচারের মুখোমুখি হবার জন্যই কেবল দূতাবাস ত্যাগ করতে পারবেন। আদালতের কাছে নিজেকে তার সঁপে দিতেই হবে। দূতাবাস ছাড়ার পর তিনি কোনোভাবেই গ্রেফতার এড়াতে পারবেন না।
৪৬ বছর বয়সী মি. অ্যাসাঞ্জ ২০১২ সাল থেকেই ইকুয়েডোরের দূতাবাসে আশ্রিত। দেশটি তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে। এমনকি গত ডিসেম্বরে ইকুয়েডোর জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে নাগরিকত্বও দিয়েছে। এ কারণে ইকুয়েডোর আশা করেছিল, ব্রিটেনের সঙ্গে আলোচনায় বসে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের গ্রেফতার এড়ানোর সুযোগ তৈরি করা যাবে। কিন্তু ব্রিটেন এ নিয়ে আলোচনা বসার প্রস্তাবে কোনো সাড়া দেয়নি।
গত সপ্তাহে ব্রিটেনের উচ্চ আদালত তার বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের দেওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা বহাল রেখেছে। তার সামনে এখন একটাই পথ খোলা । আর তা হচ্ছে দূতাবাস ছেড়ে বিচারের মুখোমুখি হওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৮
জেএম