শনিবার স্থানীয় সময় আড়াইটায় সুইডেন ও কুয়েতের করা খসড়া প্রস্তাবটি পাস হয়। ফলে ৮ দিন ধরে চলা সিরীয় ও রুশ বিমানবাহিনীর বিরামহীন বিমান হামলায় পঙ্গু ও আহতদের চিকিৎসার জন্য সরিয়ে নেওয়া এবং অবরুদ্ধ ঘৌতায় খাদ্য ও ওষুধসহ জরুরি ত্রাণ পাঠানোর সুযোগ তৈরি হলো।
তবে এই অস্ত্রবিরতি সবার বেলায় প্রয়োজ্য হবে না। আল কায়েদা, আইসিস ও আল নুসরা ফ্রন্ট-এর মতো সবচেয়ে বিপজ্জনক জঙ্গি দলগুলো এবং তাদের সহায়ক বাহিনীর লোকেরা এই অস্ত্রবিরতিতেও কোনো পার পাবে না। এরাসহ রাশিয়ার চোখে বিপজ্জনক বলে বিবেচিত ব্যক্তিরাও অস্ত্রবিরতিতে কোনো ছাড় পাবে না। এদের বিরুদ্ধে অভিযান আগের মতোই চলবে।
প্রস্তাবটি পাস হবার পর জাতিসংঘ মহাসচিব একে স্বাগত জানিয়ে যত দ্রুত সম্ভব এটি কার্যকর করার আহবান জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আসাদ সরকারবিরোধী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত ঘৌতা এলাকাটি সিরীয় বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সেখানে খাদ্য, পানীয় ও ওষুধ কিছুই আর অবশিষ্ট নেই । এরই মধ্যে ৮ দিনের টানা বিমান হামলায় মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছে কয়েক হাজার। স্বয়ং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতিয়েরেস গৌতাকে ‘দুনিয়ার বুকে নরক’ বলে অভিহিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮
জেএম