সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যাবৎকালের সবচে কঠোর এই নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্র ও তার এশীয় মিত্ররা এবার সমুদ্রে উত্তর কোরিয়ার পণ্য ও জ্বালানীবাহী জাহাজগুলো আটক করবে এবং তল্লাশি চালাবে। মূলত এশিয়া-প্রশান্তমহাসাগরীয় এলাকার গভীর সমুদ্রে উত্তর কোরীয় জাহাজগুলোর গতিরোধ করা হবে।
উত্তর কোরিয়ার জাহাজগুলো ছাড়াও অন্যান্য দেশের সন্দেহভাজন জাহাজেরও গতিরোধ করে তল্লাশি ও আটক করা হবে। উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপিত দ্বিতীয় ধাপের এই ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘিত হচ্ছে মনে হলেই যে কোনো দেশের জাহাজের গতিরোধ করে তল্লাশি চালানো হবে।
উত্তর কোরিয়া যাতে আর সমুদ্র বাণিজ্য করতে না পারে এবং অন্যদেশ থেকে খাদ্য, জ্বালানিসহ প্রয়োজনীয় রসদ আনতে না পারে সেজন্যই এই ব্যবস্থা।
যুক্তরাষ্ট্র একে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে গণ্য করে এগুচ্ছে। এ মুহূর্তে ট্রাম্প প্রশাসন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মিত্র জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে এ বিষয়ে সমন্বয়ের কাজ করছে।
যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, এভাবে চলতে থাকলে উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না এবং এক সময় পিয়ং ইয়ং তার পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি পরিহার করতে বাধ্য হবে।
বেশ ক’জন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের কাছে এমন অভিমতই তুলে ধরেছেন: ‘সন্দেহ নেই সরাসরি সামরিক ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে আমাদের অনেক কিছুই করতে হবে। কিম জং উনকে আমরা দেখিয়ে দেবো যে, আমরা যা বলি তা করে ছাড়ি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮
জেএম