দুই মেয়াদের বেশিকাল চীনের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের পদে কেউ থাকতে পারবেন না, এমন একটি ধারা আছে সংবিধানে। সে ধারাটি তুলে দেয়া হবে এখন।
বার্তাসংস্থা শিনহুয়া রোববার এখবর দিয়ে বলেছে, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসবেন। সেখানেই পরবর্তী সিদ্ধান্তটি নেয়া হবে। প্রস্তাবে এর বাইরে আর কি কি প্রসঙ্গ আছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি শিনহুয়া।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক সময়ে এই ঘোষণা এলো। অনেকেই বলছেন, অনেক ভেবেচিন্তেই এমন একটি সময় বেছে নেওয়া হয়েছে। সোমবার লোকজন পরিবার পরিজনের সঙ্গে চীনা নববর্ষ উদযাপন করে কর্মস্থলে ফিরবে। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠানরত শীতকালীন অলিম্পিকেরও পর্দা পড়ার সময় এটা। ২০২২ সালের গেমসের আয়োজক চীনের হাতে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবে দ. কোরিয়া।
নতুন প্রস্তাবটি পাস করা হলে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তৃতীয় মেয়াদে এমনকি চতুর্থ মেয়াদেও প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়াতে পারবেন। গত বছর পার্টি কংগ্রেস শি জিনপিংকে মাও সে তুংয়ের পর চীনের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নেতা বানিয়েছে।
শিনহুয়ার রিপোর্টে কমিউনিস্ট পার্টির তাত্ত্বিক সু ওয়েইর বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়। সু ওয়েই বলেন, এটা এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। কেননা ২০২০ থেকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত চীনকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম একজন ‘স্থিতিশীল, শক্তিশালী ও ধারাবাহিক’ নেতার খুব দরকার।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আদি প্রতিষ্ঠাতাদের একজনের পুত্র শি জিনপিংয়ের জন্ম ১৯৫৩ সালে। ১৯৭৪ সালে তিনি পার্টির সদস্য হন। এরপর একে একে দলের সবচেয়ে ক্ষমতাধরের পদটিতে আরোহন করেন। ২০১৩ সালে তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা অধ্যুষিত দেশের প্রেসিডেন্ট হন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮
জেএম