দেশটির উত্তরাঞ্চলের রাজ্য বোর্নোর চিবক শহরের ২০০ কিলোমিটার অদূরে দাপচির সরকারি বালিকা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়ে হামলার পর গত রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নাইজেরিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয় ওই ১১০ ছাত্রী নিখোঁজ থাকার কথা জানায়।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সপ্তাহখানেক আগে বোকো হারাম অধ্যুষিত এলাকাটির ওই স্কুলে হামলার পর প্রথম দিকে কয়েকডজন ছাত্রী নিখোঁজের খবর জানা গেলেও এখন দেখা যাচ্ছে, ১১০ ছাত্রীর স্বজন তাদের মেয়েকে খুঁজছেন।
ওই স্কুলের ছাত্রীসংখ্যা ৯০৬। তাদের মধ্যে ১১০ জনের নিখোঁজ থাকার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী লাই মোহাম্মদ বলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে সমন্বয় করে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী ওই ছাত্রীদের উদ্ধারে তৎপর হয়েছে। একটি পাথর পর্যন্ত অনুসন্ধান থেকে বাদ পড়বে না। উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে বিমান বাহিনীও।
এ ধরনের হামলা ও ছাত্রী অপহরণ ঠেকাতে প্রত্যেকটি স্কুলে পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্স বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
অপহরণের খবর জানার পর নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি বিষয়টিকে ‘জাতীয় দুর্যোগ’ বলে অভিহিত করেছেন। একইসঙ্গে যেটা ঘটেছে সেটার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে পরবর্তীতে সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
২০১৪ সালে আফ্রিকার দেশটি থেকে ২৭৬ জন স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করা হয়। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। ‘আমাদের মেয়েদের ফিরিয়ে দাও’ (ব্রিং ব্যাক আওয়ার গার্লস) স্লোগানে ওই ছাত্রীদের সন্ধান দাবিতে সোচ্চার হন হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি থেকে শুরু করে অনেক মানবাধিকার নেতা-নেত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৮
এইচএ/