ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

‘মানিক সরকার বাংলাদেশে চলে যেতে পারেন!’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৮
‘মানিক সরকার বাংলাদেশে চলে যেতে পারেন!’ হেরে গেলেন ত্রিপুরার চার বারের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। ছবি-সংগৃহীত

বিজেপিনেতা ও আসাম রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হীমন্ত বিশ্বশর্মা ‘মুসলমানদের বাংলাদেশে পাঠানো হবে’, ‘ত্রিপুরার বামপন্থি মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে বাংলাদেশে পাঠানো হবে’সহ নানা বেফাঁস মন্তব্য করে ব্যাপক তোলপাড়ের জন্ম দিয়েছিলেন। নির্বাচনী প্রচারাভিযানকালে করা এসব মন্তব্যেরই পুনরাবৃত্তি করলেন তিনি শনিবার।

ত্রিপুরা রাজ্যে বাম দুর্গের  দীর্ঘদিনের একাধিপত্য ধসিয়ে দিয়ে বিজেপি জয়পতাকা ওড়ানোর পর টানা চারবারের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের প্রতি ফের অশোভন বক্রোক্তি করলেন হীমন্ত বিশ্বশর্মা। রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও সৌজন্য ত্যাগ করে অহমিয়া এই নেতা পরাজিত মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে দেশ অথবা রাজ্য ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি মানিক সরকারকে রাজ্য ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গ, কেরালায় চলে যেতে বা দেশান্তরী হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় প্রার্থনা করতে বলেন।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি হীমন্ত বিশ্বশর্মার বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে শিরোনাম করেছে: "Manik Sarkar Can Go To Bengal, Kerala Or Bangladesh," Says BJP's Himanta Biswa Sarma

এমন কথা তিনি মানিক সরকারের নিজের নির্বাচনী এলাকা ধনপুরে বিজেপির নির্বাচনী জনসভায়ও বলেছিলেন। তখন তার বক্তব্য ছিল আরও আক্রমণাত্মক। তখন তিনি মানিক সরকারকে নির্বাচন শেষে জো্র করে ত্রিপুরা থেকে বের করে পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, আসামের বিজেপি নেতা হলেও হীমন্ত বিশ্বশর্মা ত্রিপুরা রাজ্যের বিজেপি-প্রধানের দায়িত্বও পালন করছেন। পাশাপাশি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিজেপির প্রধান কর্মকৌশলপ্রণেতাও তিনি।

হীমন্ত শর্মা তার শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্যে বলেন, "মানিক সরকারের সামনে এখন মাত্র তিনটি পথ খোলা। তিনি পশ্চিমবঙ্গে চলে যেতে পারেন। সেখানে সিপিআই-এম’র কিছুটা উপস্থিতি এখনও টিকে আছে। তিনি কেরালায় চলে যেতে পারেন । সেখানে দলটি এখন ক্ষমতায় আছে। আগামী তিন বছর দলটি সেখানে ক্ষমতায় থাকবে। অথবা তিনি চাইলে বাংলাদেশে গিয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করতে পারেন। ’’

প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সাল থেকে ত্রিপুরার ক্ষমতায় থাকা ৬৯ বছর বয়সী মানিক সরকার অত্যন্ত সজ্জন হিসেবে সব মহলে পরিচিত। তিনি সিপিআই-এম’র পলিটব্যুরো সদস্য। পরপর চার বারের এই মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে মুক্তিযোদ্ধা, গেরিলাযোদ্ধা ও শরণার্থীদের নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতা যুগিয়েছেন তিনি। মুক্তিযোদ্ধারা আজও আবেগ ও পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে তার অবদানের কথা স্মরণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা,  মার্চ ০৩, ২০১৮

জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।