তার নাম নবনাথ ইউলে। মহারাষ্ট্রের পুনে শহরে তার চায়ের দোকান, নাম ‘ইউলে টি’ হাউস।
তার ব্যবসায়ের খবর এখন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে। খবর অনুযায়ী, ছোট্ট পরিসরে পুনের জনাকীর্ণ এলাকায় স্টল বসিয়ে চা বিক্রি শুরু করেন নবনাথ। তার চায়ের স্বাদ ছড়িয়ে পড়ে পুনের অলিতে-গলিতে। আশপাশের লোকজন তো বটেই, দূর-দূরান্ত থেকেও লোকজন ছুটে আসে নবনাথের চায়ের স্বাদে নিজেকে চনমনে করে নিতে। রাজ্য ছাড়িয়ে এ খবর কানে যায় ভিন রাজ্য, পুরো ভারতজুড়ে।
ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে লোকবল বাড়াতে হয় নবনাথকে। তবু চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হয় তাকে। নবনাথের ‘ইউলে টি’র এখন মোট তিনটি আউটলেট বা শাখা আছে পুনে শহরে। এই তিন আউটলেটের প্রত্যেকটিতে কাজ করেন ১২ জন করে। প্রত্যেক আউটলেটে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার কাপ চা বিক্রি হয়। সবমিলিয়ে তার আয় হচ্ছে ১২ লাখ রুপি।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে পেছন ফেরেন নবনাথ, ‘চা বিক্রির ভাবনাটা আমার মাথায় প্রথম আসে ২০১১ সালে। দেখলাম পুনের মানুষ চা খেতে দারুণ ভালোবাসে, অথচ চা যেমন স্বাদের হতে পারে, তেমন হচ্ছে না। এরমধ্যে ভাবনায় আসে এই পুনে শহরে অনেক কিছুর ব্র্যান্ড আছে, অথচ কেবল চায়ের ব্র্যান্ডটাই নেই। এতোসব ভাবনায় চার বছরের মতো চা নিয়ে পড়াশোনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি এবং আমাদের চায়ের মান নির্ধারণ করে বিক্রি শুরু করি, পেতে শুরু করি দারুণ প্রশংসাও। তারপরে এতোদূর। ’
এই এতোদূর এসেই থামছেন না নবনাথ। তিনি স্বপ্ন দেখছেন তার চায়ের সুনাম এবং ব্যবসা আন্তর্জাতিক পরিসরেও ছড়িয়ে দেবেন, ‘ভারতবর্ষের ‘পাকুড়া’র মতো আমার চা-ও হয়ে উঠবে ব্র্যান্ড, সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৮
এইচএ/