আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলো জানাচ্ছে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গত বছরের নভেম্বর মাসে ‘২০১৭ ভিআর ১২’ (2017 VR12 ) নামের এই গ্রহাণুটিকে শনাক্ত করার পর থেকেই এর গতিবিধির ওপর সতর্ক নজর রাখছিলেন।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় খুব ভোরের দিকে অতিকায় প্রস্তরখণ্ড সদৃশ এই গ্রহাণুটি আমাদের পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।
পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে যাবার সময় এটি বিপর্যয়কর ঘটনার জন্ম দিতে পারে বলে মহাকাশবিজ্ঞানীদের কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন। তাদের আশঙ্কার মূল কারণ এর আকারের বিশালতা। কোনো কারণে এটি পৃথিবীর ওপর বা কাছাকাছি আছড়ে পড়লে বড় ধরনের বিপদ হওয়া অসম্ভব নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের মাইনর প্ল্যানেট সেন্টার (Minor Planet Center) নামের একটি মহাকাশসংস্থা এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
তবে কোনো কোনো জ্যোতির্বিজ্ঞানী বলছেন, এ থেকে ভয়ের কারণ খুব একটা নেই। পৃথিবীর ওপর এটির আছড়ে পড়ার আশঙ্কাও খুব একটা নেই। কেননা, এটি পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের চেয়ে কমপক্ষে তিনগুণ দূর দিয়ে যাবে। এটি যখন পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে, তখনও পৃথিবী থেকে এটি থাকবে ১ কোটি ৪০ লক্ষ কিলোমিটার দূরে।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা ‘নাসা’ হিসেব কষে বলেছে, বুধবারের পর এটি আবারও পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে। সেজন্য পৃথিবীকে কম করেও ১৭৭ বছর অপেক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৮
জেএম