যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকা হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়াম জানায়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠির বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনযজ্ঞ, ধর্ষণযজ্ঞ ও লোমহর্ষক অত্যাচার নির্যাতন চলতে থাকার পরও অং সাং সুচি এ বিষয়ে নীরব। এমনকি তিনি এসবকে ধামাচাপা দেবার চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন।
হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়াম পুরস্কারটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে সুচিকে লেখা এক চিঠিতে। ওয়াশিংটনে মিয়ানমার দূতাবাসে চিঠিটি পৌঁছে দেওয়া হয়।
সুচিকে উদ্দেশ্য করে চিঠিতে বলা হয়, হলোকাস্ট মিউজিয়াম আশা করেছিল মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির ওপর সেনাবাহিনী যে বর্বরতা চালাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে সুচি অন্তত নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাবেন, এসব বন্ধ করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন এবং বিপন্ন রোহিঙ্গাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করবেন। কেননা সর্বজনীন মানবাধিকার ও মানুষের মানবিক মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল নেত্রী হিসেবে বিশ্বব্যাপী তার পরিচিতি রয়েছে। কিন্তু সুচি এসবের কিছুই না করে চুপ থেকেছেন। এসবকে আড়াল করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন। এজন্যই হলোকাস্ট মিউজিয়ামের মানবাধিকার পদকটির যোগ্য তিনি আর নেই।
উল্লেখ্য, অং সান সুচিকে পুরস্কারটি দেয়া হয়েছিল ২০১২ সালে। ২০১৭ সালে নভেম্বর মাসে হলোকাস্ট মিউজিয়াম এক রিপোর্টে ‘‘ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির বিরুদ্ধে মিয়ানমার গণহত্যা চালাচ্ছে’’ বলে উল্লেখ করে। তারা মিয়ানমারের মানবতাবিরোধী নৃশংস কার্যক্রমের ওপর সতর্ক নজর রাখছে। সুচির নেতিবাচক ভূমিকা ও কর্মকাণ্ড তাদের নজর এড়ায়নি। কারণে
সুচিকে লেখা চিঠিতে হলোকাস্ট মিউজিয়ামের দুটি বাক্য এরকম: “ অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে পুরস্কারটি ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছি আমরা। এমন একটি সিদ্ধান্ত আমরা হাল্কাভাবে নিইনি। ’’
তবে বিশ্বজুড়ে সুচিরি ওজনদার ভাবমূর্তি এরই মধ্যে অনেকখানি হাল্কা হয়েছে এবং সুনামে মরিচা ধরেছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা খোয়ানো সেটাই প্রমাণ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৮
জেএম