প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে শনিবার দেয়া এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এখবর জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাগুলো। তিন বিচারকের এই প্যানেল কান্দিতে মুসলিমবিরোধী ব্যাপক সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাটের কারণ খতিয়ে দেখবে এবং দোষীদের চিহ্তি করবে।
গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলা মুসলিমবিরোধী এই ব্যাপক সহিংসতায় এ পর্যন্ত তিনজন নিহত এবং ২০ জনের আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। টানা ৪দিনের এই দাঙ্গা-সহিংসতায় মুসলমানদের কমপক্ষে ২০০টি বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে বা ধ্বংস করে দেওয়া হয়। উগ্রপন্থি হাজার হাজার সিংহলি বৌদ্ধ সশস্ত্র অবস্থায় রাস্তায় নেমে এসে কমপক্ষে ১১টি মসজিদে হামলা চালিয়ে এগুলো আংশিক বা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে।
পুলিশের দাবি, সহিংসতাপ্রবণ এলাকাগুলোতে ব্যাপক সৈন্য সমাবেশের পর পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ শান্ত এবং নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
কান্দিতে শনিবার সকালে কারফিউ তুলে নেওয়া হয়। তবে সেখানে সেনাটহল ও পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে।
বৌদ্ধ ধর্মগুরুদের প্রশংসনীয় ভূমিকা
মুসলমানদের ওপর চলমান হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটকে মেনে নেননি দেশটির বৌদ্ধ নেতারা। তারা এসবের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন এবং হামলাকারী দুর্বৃত্তদের কঠোর শাস্তি বিধানের দাবি জানিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি এসবের বিরুদ্ধে তারা শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন প্রান্তে, মিছিল সমাবেশ ও প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন।
মিয়ানমারের বৌদ্ধ নেতাদের মতো কোনো সাম্প্রদায়িক ও সহিংস ভূমিকাকে তারা সমর্থন করেননি। কোনো অপকর্মে নিজেদের জড়ানওনি। শুক্রবার শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে শত শত বৌদ্ধ ধর্মগুরু রাস্তায় নেমে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
১৫০ দুর্বৃত্ত গ্রেফতার
পুলিশ জানিয়েছে, চারদিনের মুসসলমানবিরোধী দাঙ্গা ও বিভিন্ন রকমের সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশ পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে ১৫০ জন দুর্বৃত্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজন অমিত বীরাসিংহেও রয়েছে। সিংহলি বৌদ্ধ ওই লোকই মুসলমানদের বিরুদ্ধে লাগাতার উস্কানিদাতা। সামাজিক মাধ্যমে মুসলমানদের বিরুদ্ধে হামলার আহবান জানিয়েও একাধিক পোস্ট রয়েছে তার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৮
জেএম