স্থানীয় সময় রোববার (১১ মার্চ) দিনগত রাতে এ করিডোর হয়ে প্রথম দফায় প্রায় ৫২ জনের একটি দল নিরাপদে ওই এলাকা ছেড়ে আসেন। এদেরমধ্যে বেশিরভাগই শিশু।
রাশিয়ান সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, মানবিক করিডোর হয়ে প্রথম দফায় ৫২ জন বাসিন্দা যুদ্ধ বিধ্বস্ত এলাকা ঘৌতা ছেড়েছেন। এরা সবাই সন্ত্রাসীদের হাতে মৃত্যুর হুমকিতে বাস করছিলেন। তাদেরকে উদ্ধার করে উত্তর দামেস্কের নিকটবর্তী শহর আধরার একটি পরিত্যক্ত ড্রাইভিং স্কুলে নেওয়া হয়েছে।
সহায়তা কেন্দ্রের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ভ্লাদিমির জুলুতুখিন জানান, দুই দিনের মধ্যে তাদেরকে মেডিকেল সহায়তাসহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।
এদিকে, সিরিয়ার পূর্ব ঘৌতা থেকে স্থানীয়দের বের করে আনতে রাশিয়ার মানবিক করিডোর তৈরির প্রস্তাবকে হাস্যকর বলছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এক মাসের যুদ্ধবিরতির ওপর গুরুত্বারোপ করেছে জাতিসংঘও।
বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অবরুদ্ধ পূর্ব ঘৌতায় সরকারি বাহিনীর টানা কয়েক দিনের বিমান হামলায় এলাকাটি মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। এভাবে অভিযান অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েকদিনে নারী-শিশুসহ বিপুল সংখ্যক স্থানীয় বাসিন্দা মৃত্যুবরণ করবে বলে সতর্ক করেছে স্থানীয় একটি সেবা সংস্থা।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৩ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৮
পিএম/এনএইচটি