সোমবার (১২ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়। ঢাকা থেকে যাওয়া ৭৮ আসনের উড়োজাহাজটিতে চার ক্রুসহ মোট ৭১ জন ছিলেন।
এদের মধ্যে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদেরই একজন বসন্ত বোহরা। রাসবিতা ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের এই কর্মীকে নিকটস্থ নরবিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসাধীন বোহরা টুইটে বলেছেন, ‘আমি সৌভাগ্যবশত বেঁচে গেছি! প্লেনে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির ১৬ নেপালি ছিলেন। আমরা প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। ’
‘ঢাকা থেকে নির্বিঘ্নেই প্লেনটি উড্ডয়ন করে, কিন্তু যখন কাঠমান্ডুর বিমানবন্দরে অবতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো তখনই এয়ারক্র্যাফটির অদ্ভুত আচরণ দেখা যায়। হঠাৎ তীব্রভাবে কাঁপতে থাকে প্লেনটি, এরপর বিকট শব্দ হয়। আমি প্লেনের জানালার পাশেই ছিলাম এবং জানালা ভেঙে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হই। ’
তারপর আর কিছু স্মরণ নেই উল্লেখ করে বোহরা তার টুইটে বলেন, ‘প্লেন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আমার আর কিছু মনে নেই। কেউ আমাকে নিকটস্থ সিনামঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে যায়, খবর পেয়ে আমার বন্ধুরা আমাকে নরবিকে নিয়ে আসে। আমার মাথা ও পায়ে আঘাত লেগেছে, কিন্তু সৌভাগ্যবশত আমি এই বিপর্যয় থেকে বেঁচে গেছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৮
এইচএ/