রুশ ডাবল এজেন্ট সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়ে ইউলিয়ার ওপর বিষাক্ত নার্ভ গ্যাস হামলার প্রতিবাদে ওই ২৩ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে যুক্তরাজ্য। তার আগে যুক্তরাজ্যে থাকা স্ক্রিপাল ও ইউলিয়ার ওপর হামলার বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
এর কয়েক ঘণ্টা পর ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রশাসনের অবস্থানের কথা জানিয়ে বলেন, এ ধরনের জঘন্য হামলা যেন আর না ঘটে তা নিশ্চিত দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাজ্য থেকে রাশিয়ার কূটনীতিকদের বহিষ্কার করার বিষয়ে বিবৃতিতে ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি বলেন, ‘এটা ছিল কেবল জবাব’।
রুশ ডাবল এজেন্টের ওপর হামলায় মস্কোকে অভিযুক্ত করে হোয়াইট হাউসের এ মুখপাত্র বলেন, ‘রাশিয়ার সবশেষ আচরণটি আন্তর্জাতিক আইন-কানুনকে উপেক্ষা, বিশ্বের দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে খাটো করা এবং পশ্চিমা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়াকে ধ্বংসের অপচেষ্টার শামিল। ’
টেরিজা মে পার্লামেন্টে ২৩ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণাটি দেওয়ার সময় বলেন, কূটনীতিক বহিষ্কারের বাইরেও চলতি বছর অনুষ্ঠেয় ফুটবল বিশ্বকাপে রাশিয়ায় সরকারি প্রতিনিধি পাঠানো থেকেও বিরত থাকবে তার সরকার।
তবে কূটনীতিক বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়, এই পদক্ষেপ ‘অদূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও হঠকারিতামূলক’। এই বৈরী পদক্ষেপের মাধ্যমে রাশিয়া-যুক্তরাজ্য সম্পর্কের যে ক্ষতি করা হলো তার জন্য লন্ডনকেই দায় বহন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৮
এইচএ/