বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে এমনটা জানোনো হয়েছে। খবরে বলা হয়, নতুন করে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত এই ১৯ নাগরিকের মধ্যে বিচার বিভাগ অভিযুক্ত ১৩জনও রয়েছেন।
ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভেন মনচিন বলেন, রাশিয়ার নাগরিকরা ধ্বংসাত্মক ‘সাইবার হামলায় এবং গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোকে নিরস্ত্রীকরণে’ অভিযুক্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রাশিয়ার চলমান পৈশাচিক হামলার ফল।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মস্কোর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় হুমকিও দিয়ে আসছিল ট্রাম্প প্রশাসন।
তবে হুমকি-ধমকির প্রায় ২ বছর পর মস্কোর বিরুদ্ধে বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করলো ওয়াশিংটন ডিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি আরও বলেন, মার্কিন ট্রেজারি সচিব বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য রাশিয়ার কর্মকর্তাদের ছাড়াও তাদের অস্থিতিশীল কার্যকলাপের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।
তবে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট করে তেমন কিছুই জানাননি তিনি।
এদিকে নতুন এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী সেরগেই রিয়াকভ বলেন, এ বিষয়ে শান্ত রয়েছে মস্কো।
এর আগে বুধবার (১৪ মার্চ) লন্ডনে ২৩ কূটনৈতিককে বহিষ্কার করে টেরেজা মে সরকার। সলসবারিতে সাবেক রুশ গোয়েন্দা কর্মকর্তা সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়ে ইউলিয়ার স্ক্রিপালের (৩৩) ওপর রাশিয়ার তৈরি নার্ভ এজেন্ট ব্যবহারের বিষয়ে দেশটি কোনো ব্যাখ্যা না দেওয়ায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
যদিও এ বিষয়ের কোনো সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে মস্কো।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৮
এমএ/