শনিবার (১৭ মার্চ) তার পদত্যাগের বিষয়টি এক সংবাদ সম্মেলনে গারিবের আইনজীবী ইউসুফ মোহাম্মেদ জানিয়েছেন। শুক্রবার (২৩ মার্চ) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নেবেন।
মরিশাসের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বেশ কিছুদিন ধরেই সমালোচিত হচ্ছিলেন ৫৮ বছর বয়সী এ রাষ্ট্রপ্রধান। তার বিরুদ্ধে একটি সংস্থা থেকে পাওয়া ক্রেডিট কার্ডের অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে আসছিল এল’ এক্সপ্রেস নামের একটি পত্রিকা।
মরিশাসের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট আমিনা গারিব একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী ও পরিবেশবাদী। ২০১৫ সালে তিনি লন্ডন ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা প্ল্যানেট আর্থ ইনস্টিটিউটে (পিইআই) যোগ দেন। উদ্দেশ্য ছিল আফ্রিকার গবেষণা সামর্থ্যকে আরও সমৃদ্ধ করা।
২০১৬ সালের মে মাসে সংস্থাটির পক্ষ থেকে ভ্রমণ ও প্রযুক্তিগত খাতে খরচ করার জন্য তাকে একটি ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করা হয়। এল’ এক্সপ্রেসের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ল্যাপটপ, পোশাক, জুতা, অলংকার ইত্যাদি বিলাস পণ্য কিনেছেন আমিনা।
ক্রেডিট কার্ডের ব্যাপারটি ছাড়াও, পিইআই-এর প্রতিষ্ঠাতা আলভারো সব্রিনহোর সঙ্গে আমিনা গারিবের ঘনিষ্ঠতা বাড়তি সমালোচনার জন্ম দেয়। কারণ, অ্যাঙ্গোলান এই ধনকুবের ইতোমধ্যেই প্রতারণার অভিযোগে সুইজারল্যান্ড ও পর্তুগাল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন।
২০১৭ সালে সব্রিনহো মরিশাসে একটি ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক চালুর অনুমতি পান। এ ব্যাংকটির কর্মকাণ্ডও প্রশ্নবিদ্ধ হয় বিভিন্ন কারণে।
এমন পরিস্থিতিতে বিরোধী দলের চাপের মুখে পড়েন আমিনা। সমালোচনা শুরুর মহূর্তেই তিনি পিইআই থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৮
এনএইচটি/