রোববারের লড়াইতে কম করেও ২৮০ জন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বলে দাবি করেছেন মানবাধিকারকর্মীরা। তবে তুরস্ক তাদের দাবি অসত্য বলে নাকচ করে দিয়েছে।
এর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান ঘোষণা করেন, ‘‘ফি সিরীয় সেনাদল রোববার সকালে আফরিন শহরের কেন্দ্রস্থল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। ’’
তবে পথে পথে কুর্দি যোদ্ধারা যে মাইন পুঁতে রেখেছে এখন সেসব অপসারণের কাজ চলছে। পাশাপাশি এখনো যেসব পকেটে কিছু কুর্দি প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে তাদের হটিয়ে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা চলছে। তবে সেসব বড় কোনো বাধা নয়।
এরদোয়ানের ভাষায়, ‘‘বেশিরভাগ সন্ত্রাসীই তাদের দু’পায়ের মধ্যে লেজ গুটিয়ে প্রাণ হাতে পালিয়ে গেছে। আফরিনের কেন্দ্রস্থলে এখন আর কোনো সন্ত্রাসীর উপস্থিতি নেই। এখন সেখানে আশা, আস্থা ও স্থিতিশীলতার প্রতীক সেনারা পতাকা দোলাচ্ছে। ’’
ছবি ও ভিডিও ফুটেছে একটি কুর্দি স্ট্যাচুকে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে ফেলতে দেখা যায়। ঐ মূর্তিটি কুর্দিদের কিংবদন্তি চরিত্র কর্মকার ‘কাওয়া’র।
মূর্তিটিকে গুঁড়িয়ে দেয়াকে সামাজিক মাধ্যম হোয়াটসআপে কুর্দিদের ইতিহাস-সংস্কৃতির প্রতি তুর্কি বর্বরতার নগ্ন হামলা বলে অভিহিত করেছে কুর্দিদের একটি গ্রুপ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৮
জেএম