ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো মঙ্গলবার (২০ মার্চ) রাজ্যসভায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের দেওয়া বক্তব্যের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
ভারতীয়দের মরদেহগুলো মসুল থেকে বাগদাদে পাঠানো হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, ‘গতকাল (সোমবার ১৯ মার্চ) আমরা খবর পেয়েছি যে, ৩৮ জন নিহতের ডিএনএ নমুনা ভারত থেকে পাঠানো ডিএনএ নমুনার সঙ্গে ১০০ ভাগ মিলে গেছে। তবে বাকি একজনের ডিএনএ পাঠানো নমুনার সঙ্গে শতকরা ৭০ ভাগ মিলেছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিং ৩৯ নিহত ভারতীয়র মরদেহগুলোর অবশেষ ভারতে ফিরিয়ে আনতে ইরাক যাবেন। মরদেহাবশেষ বহনকারী বিমানটি প্রথমে যাবে অমৃতসর। এরপর যাবে পাটনা এবং সবশেষে কলকাতা।
অপহৃত ও নিহত ভারতীয়দের সবাই ছিল দরিদ্র শ্রমিক। এদের বেশিরভাগই পাঞ্জাবের। জঙ্গিগোষ্ঠি আইসিস ২০১৪ সালে ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল দখলে নেবার পর এই ভারতীয় শ্রমিকরা অন্য শহরে চলে যাবার সময় এদেরকে পথিমধ্যে আটক ও জিম্মি করা হয়।
গত বছরের জুলাই মাসে সুষমা স্বরাজ পার্লামেন্টে বলেছিলেন, মারা গেছে বলে নিশ্চিত প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত আমি কখনোই এই ৩৯ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করবো না। কেননা, ‘‘সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত কাউকে মৃত বলে ঘোষণা করা পাপ। এমন পাপ আমি করতে পারবো না। ’’
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৮
জেএম