বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার প্রাথমিক খবরে বলা হয়, বহু মানুষ নওরোজ উৎসবের আনন্দে শরিক হওয়ার জন্য সেখানে জমায়েত হয়। এদের একটি বড় অংশ ছিল সংখ্যালঘু শিয়া।
জঙ্গি গোষ্ঠি আইসিস এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সুন্নিপন্থি আইসিস ও তালেবান সাম্প্রতিককালে সংখ্যালঘু শিয়াদের ওপর আর বেশ কিছু হামলা চালিয়েছে। তবে বুধবারের এই হামলা খুবই বড় ধরনের এক হামলা। যেখানে আরো বহু লোকের হতাহত হবার আশঙ্কা ছিল।
আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী পায়ে হেঁটে সখী মাজারের সামনে পৌঁছালে পুলিশ টের পেয়ে যায় যে, তার শরীরে বোমা বাঁধা আছে। এসময়ই কোনো বাধা দেবার সুযোগ না দিয়ে সে নিজের শরীরে বাঁধা বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটায়। চোখের নিমিষে সেখানে নারকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
রাজধানী কাবুলের পশ্চিমাংশে অবস্থিত এই মাজারটি কাছেই কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় এবং আলি আবাদ হাসপাতাল। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসেও এই মাজারে শিয়াদের আশুরা উৎসবের আয়োজনকালে এক আত্মঘাতী হামলায় কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া মাজারটিতে ২০১১ সালে চালানো আরেক আত্মঘাতী হামলায় কমপক্ষে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
সখী মাজারটি কাবুলের সবচেয়ে বড় মাজার। এখানে ফকির, দরবেশ, গায়ক আধ্যাত্মিক ও সুফি ঘরানার লোকজনের আগমন ঘটে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
জেএম