ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো বৃহস্পতিবার জানায়, রাজস্থানের পোখরান পরীক্ষাস্থলে সকালে এই পরীক্ষাটি চালানো হয়। এমন সফল পরীক্ষা আগেও চালানো হয়েছে।
রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে উদ্ভাবিত এই সর্বাধুনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটিকে এ যাবৎকালের সবচেয়ে কার্যকর এবং সবচেয়ে নিখুঁত ও ভয়ঙ্কর ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বলে গণ্য করা হচ্ছে। এর বড় কারণ এর অবিশ্বাস্য গতি।
২০১৬ সালে ভারত মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রেজিম বা এমটিসিআর-এর পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ লাভ করায় যাবতীয় কারিগরি বিধিনিষেধ দূর হয়েছে। ভারত-রাশিয়া চাইলে এখন এর পাল্লা ৪০০ কিলোমিটারে উন্নীত করতে পারবে। সে ক্ষমতাও এই প্রকল্পের অংশীদার রাশিয়ার রয়েছে।
রাশিয়ার কাছ থেকে কেনা ৪০টি অত্যাধুনিক সুখোই জঙ্গি বিমানে এই সুপারসোনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটি সংযোজনের কাজও এগিয়ে চলেছে। একাজ সম্পন্ন হলে এ অঞ্চলে ভারতের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা-চাহিদার অনেকখানিই পূরণ হবে। পাশাপাশি ভারতের সামরিক শক্তিতেও যোগ হবে নতুন মাত্রা।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার ইউখান্ত এবং যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়েও ঢের কার্যকর ও গতিমান এই ক্ষেপণাস্ত্র নৌযুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৮
জেএম