সবুজ রঙা সামরিক ট্রেনে করে সোমবার সস্ত্রীক বেইজিং পৌঁছে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। সে বৈঠকেই তিনি এই অভিমত প্রকাশ করেন বলে বুধবার জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।
উত্তর কোরীয় নেতার কণ্ঠে যুদ্ধংদেহী মনোভাবের বদলে নমনীয় ভাবই প্রকাশ পেয়েছে বেশি। তার ভাষায়, তার দেশ উত্তর কোরিয়া আন্তঃকোরীয় সম্পর্ককে সমঝোতা, সহযোগিতা ও পারস্পরিক আস্থার সম্পর্কে উন্নীত করতে আগ্রহী। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরিতার বদলে সংলাপের সূচনা করতেও আগ্রহী তারা। এজন্যই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান তিনি।
পরমাণু অস্ত্র ও আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যে উত্তেজনা চলছে, তারও গঠনমূলক সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন তরুণ এই নেতা:‘যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া যদি আমাদের প্রচেষ্টার প্রতি শুভেচ্ছার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসে তাহলে কোরীয় উপদ্বীপে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা অসম্ভব নয়। সবকিছুই নির্ভর করছে পারস্পরিক সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার ওপর’।
চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানায়, কিম মনে করেন যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে আগের যুদ্ধংদেহী অবস্থান এখন ততোটা নেই। পরিস্থিতি এখন আগের চেয়ে অনেক ইতিবাচক।
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংও অনুরূপ মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। শি জিন পিং এজন্য উত্তর কোরিয়ার বদলে যাওয়া ইতিবাচক মনোভাবের প্রশংসা করেছেন। তার মতে, সব কিছুই ঠিকঠাক আছে। এখন শুধু সদিচ্ছার মনোভাবটা ধরে রাখাই আসল কাজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৮
জেএম