বুধবার (২৮ মার্চ) ক্রেমলিনে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংকালে পেসকভ বলেন, ‘বিশ্বকাপে রাষ্ট্রীয় অতিথিদের অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা গোটা আসরে কোনোই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। কারণ বিশ্বকাপে কোনো অতিথি বা সরকারি প্রতিনিধির আসা গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো দলগুলোর খেলা।
পক্ষত্যাগকারী রুশ ডাবল এজেন্ট সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়ে ইউলিয়ার ওপর যুক্তরাজ্যে নার্ভ গ্যাস (নোভিচক) হামলার অভিযোগ তুলে মস্কোর সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে লন্ডন। যুক্তরাজ্যের পক্ষ নিয়ে এই ইস্যুতে তাদের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো রাশিয়ার সমালোচনায় মেতেছে।
দ্বন্দ্বের জেরেই যুক্তরাজ্য লন্ডনে নিযুক্ত ২৩ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করলে পাল্টা জবাব পেয়ে যায়। রাশিয়াও বহিষ্কার করে সমানসংখ্যক ব্রিটিশ কূটনীতিককে। সবশেষ গত ২৬ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৬০ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কারের পাশাপাশি সিয়াটলে অবস্থিত রাশিয়ান দূতাবাস বন্ধ করে দেন। ট্রাম্পের এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ইইউভুক্ত ১৬টি রাষ্ট্র, ইউরোপের অন্য কয়েকটি দেশ এবং কানাডাও রুশ কূটনীতিক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানায়।
এরমধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে কূটনীতিক বহিষ্কারের পাশাপাশি জানিয়ে দেন, তার দেশের কোনো কূটনীতিক বা ব্রিটিশ রাজপরিবারের কোনো সদস্য বিশ্বকাপে যাবেন না। যাবেন না ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্রিন্স উইলিয়ামও। এরপর যুক্তরাজ্যের উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরীয় মিত্র দেশ আইসল্যান্ডও কূটনৈতিকভাবে রাশিয়া বিশ্বকাপ বয়কটের ঘোষণা দেয়।
আগামী ১৪ জুন থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় এই বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র আইসল্যান্ড। ৩২ জাতির এই মেগা ফুটবল আসরে অন্যতম ফেবারিট হিসেবে খেলবে ইংল্যান্ডও।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৮
এইচএ/
** কূটনৈতিকভাবে রাশিয়া বিশ্বকাপ বয়কট আইসল্যান্ডের