বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) ওহাইও অঙ্গরাজ্যের একটি র্যালিতে বক্তৃতাকালে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা শিগগির সিরিয়া থেকে সরে আসবো। এখন অন্যরা এই ময়দানের দেখাশোনা করুক।
তিনি সাবেক প্রেসিডেন্টদের মধ্যপ্রাচ্য-নীতির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে হাজার হাজার (ট্রিলিয়ন) কোটি ডলার খরচ করে এলেও প্রাপ্তি ‘শূন্য’। ’
মার্কিন সেনারা সিরিয়াকে আইএসের নরক থেকে তুলে এনেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা (আইএস) সেখানে যে খেলাফতের কথা বলে, আমরা শতভাগ সেই খেলাফত থেকে ফিরিয়ে নিচ্ছি (সিরিয়াকে)।
তবে ‘শিগগির’ বললেও সেনা প্রত্যাহারের ঠিক দিনক্ষণ বলেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এমনকি সেনা প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে সিরিয়ায় আইএসের ওপর চলতে থাকা মার্কিন বাহিনীর বিমান হামলা বন্ধ হবে কি-না, সে বিষয়ে কোনো কথাও স্পষ্ট করেননি ট্রাম্প।
আরব বসন্তের জেরে ২০১১ সালে সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশারবিরোধী যে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হয়, তাতে জড়িয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়াসহ বিশ্ব রাজনীতির পরাশক্তিরা। যুক্তরাষ্ট্র পক্ষ নেয় বাশারবিরোধী বিদ্রোহীদের। আর রাশিয়া পক্ষ নেয় বাশারের অনুগত বাহিনীর।
এই গৃহযুদ্ধের মধ্যে সিরিয়া ও এর পার্শ্ববর্তী ইরাক দখল করে খেলাফতের ঘোষণা দেয় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। আইএস দমনের নামে সরাসরি যুদ্ধে নেমে যায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা জোট এবং রাশিয়াও। কিন্তু পর্যবেক্ষকরা বরাবরই বলে আসছিলেন, মার্কিন বাহিনী আইএসবিরোধী হামলার আড়ালে আসাদের অনুগত বাহিনীকে কোণঠাসা করে দিচ্ছে, আর রুশ বাহিনী নির্মূল করছে বিদ্রোহীদের।
সম্প্রতি আসাদের বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা পূর্ব ঘৌতায় বিমান হামলায় প্রায় হাজারখানেক বেসামরিক লোকের প্রাণহানি হলে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ ফের বিশ্ব সম্প্রদায়ের মনোযোগে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৮
এইচএ/