ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্রের দ্বিতীয় চালান নিলো তুরস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৯
রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্রের দ্বিতীয় চালান নিলো তুরস্ক

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের যাবতীয় চোখ রাঙানি-হুঁশিয়ারির তোয়াক্কা না করেই ইতোমধ্যে রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এস-৪০০’র দ্বিতীয় চালানও গ্রহণ করেছে তুরস্ক।

শনিবার (১৩ জুলাই) তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত মার্তাদ সামরিক ঘাঁটিতে পৌঁছায় ‘এস-৪০০’র দ্বিতীয় চালান।  

এর আগে শুক্রবার (১২ জুলাই) রুশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ‘এস-৪০০’র প্রথম চালান গ্রহণ করে তুরস্ক।

এস-৪০০ একটি রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র, যেটি আকাশপথের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে। ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণের এই ক্ষেপণাস্ত্রের আওতা প্রায় ৪০০ কিলোমিটার। এটি একনাগাড়ে ৮০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। স্বল্প উচ্চতার ড্রোন থেকে শুরু করে যে কোনো উচ্চতায় যুদ্ধবিমান এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে আঘাত হানতে সক্ষম এই সমরাস্ত্র। এই প্রযুক্তির প্রতি ইউনিটে থাকে ৯টি করে লঞ্চার (যেখান থেকে ছোড়া হয়), ১২০টি করে ক্ষেপণাস্ত্র এবং কমান্ড ও সাপোর্টের জন্য সরঞ্জাম ও বাহন।

নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতেই ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার চুক্তি করেছে তুরস্ক। এ জন্য মস্কোকে বড় অংকের অর্থও পরিশোধ করেছে তারা।  

তবে যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা, এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিজেদের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের জন্য বড় হুমকি। তাই উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোটের (ন্যাটো) অন্যতম সদস্য তুরস্ককে রুশ এস-৪০০ কিনতে বরাবরই নিষেধ করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ নিষেধাজ্ঞায় কোনো ভ্রুক্ষেপ না করায় হুঁশিয়ারিও দিয়ে আসছিল মার্কিন কর্তৃপক্ষ।

তুরস্ক যদি ‘এস-৪০০’ চুক্তি বাতিল না করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে করা ‘এফ-৩৫’ চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছিলেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞাও আসতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে তাদের।

এত কিছুর পরও পিছু হটেনি তুরস্ক। এর মধ্যে ‘তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের দাস নয়’ এমন মন্তব্যও করেছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান।

তবে রুশ চুক্তির আগেই তুরস্কের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ‘এফ-৩৫’ চুক্তি হয়েছিল। চুক্তি অনুসারে তাদের বড় অংকের টাকাও দিয়েছিল তুরস্ক। চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০০টি ‘এফ-৩৫’ যুদ্ধবিমান কেনার কথা ছিল। ইতোমধ্যে কয়েকটি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাকিগুলো পাঠাতে কিছু সময় চেয়েছিল দেশটি। এর মধ্যেই রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনা নিয়ে দু’দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৯
এসএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।