ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

শিকারি তিমির মুখে সি লায়ন, তারপর...  

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০১৯
শিকারি তিমির মুখে সি লায়ন, তারপর...  

সম্প্রতি বন্যপ্রাণী বিষয়ক এক চিত্রগ্রাহক দর্শনীয় একটি ছবি তুলেছেন। ছবিটি দেখে মনে হচ্ছিল, অতিকায় এক তিমির খাবার হয়ে পেটে ঢুকে যাবার আগে বাঁচার চেষ্টা করছে অসহায় একটি সি লায়ন (সামুদ্রিক সিল)।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার মন্টেরি উপসাগরে তিমি দর্শনে আয়োজিত এক নৌভ্রমণে এ ছবিটি তোলেন চেজ ডেকার নামে ২৭ বছর বয়সী এক তরুণ চিত্রগ্রাহক। তিনি পেশায় একইসঙ্গে একজন সমুদ্রবিষয়ক জীববিজ্ঞানী।

এক যুগ ধরে বন্যপ্রাণীর ছবি শিকার করে বেড়াচ্ছেন ডেরেক। কিন্তু এ ছবি তোলার মুহূর্তের কথা জানতে চাইলে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে ডেরেক বলেন, ‘আমি জীবনে অনেক আজব আজব জিনিস দেখেছি, কিন্তু এমন কিছু দেখিনি। ’  

সাক্ষাৎকার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে লেখা পোস্টে ডেরেক জানান, গত ২২ জুলাই তিমি দেখার উদ্দেশে নৌভ্রমণকালে হাম্পব্যাক প্রজাতির এক ঝাঁক তিমি তার নজরে আসে। সেগুলো তখন একটি জায়গায় মাছ শিকার করছিল। এরই মাঝে সেখানে এসে পড়া দুর্ভাগা এক সি লায়ন নিজেকে উদ্ধারের পথ না পেয়ে সোজা গিয়ে পড়ে একটি তিমির মুখে।  

এরপর দ্রুত তিনি তার ক্যামেরা বের করে একের পর এক ওই অভূতপূর্ব মুহূর্তের ছবি তুলতে থাকেন।  

‘আমি আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলাম, কেননা আমি এমন একটা মুহূর্তের ছবি তুলছিলাম, বাকি জীবনে যা হয়তো আর দেখা হবে না’, বলেন ওই চিত্রগ্রাহক।

ভাগ্যবিড়ম্বিত সি লায়নটির শেষ পরিণতি ভেবে নিশ্চয়ই আপনার কষ্ট লাগছে। কিন্তু, ডেরেকের কথা শুনলে অবাক হবেন! তিনি জানান, সি লায়ন মুখে পড়া তিমিটি সেদিন নিজের চোয়াল বন্ধ করেনি। ঘটনার আকস্মিকতায় হকচকিয়ে যাওয়া সি লায়নটি অবশেষে বেঁচে যায়। কোনো রকমে সাঁতরে পালায় সেখান থেকে।

এ ঘটনাকে বহুলশ্রুত ইউনূস নবীর কাহিনির সঙ্গে তুলনা করেন চিত্রগ্রাহক চেজ ডেকার। যেখানে একটি অতিকায় মাছ ইউনূস নবীকে খেয়ে ফেলে, কিন্তু অলৌকিকভাবে তিনি রক্ষা পেয়ে যান। সি লায়নটি সত্যিকার অর্থেই ও রকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিল বলে মনে করেন এ চিত্রগ্রাহক।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৯
এইচজে/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।