ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

সরকারের কুকর্মের সাক্ষী উইগুর দম্পতি নিখোঁজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২১
সরকারের কুকর্মের সাক্ষী উইগুর দম্পতি নিখোঁজ

দীর্ঘ সময় ধরে তুরস্কের নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগে সংখ্যালঘু উইগুর দম্পতিকে আটক করেছে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল জিনজিয়াং কর্তৃপক্ষ। আটক দম্পতির মেয়ের দাবি, তার মা-বাবাকে ছেড়ে দেবে না বেইজিং।

কারণ তারা জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাক্ষী।

চীনের কার্গিলিক কাউন্টির ইয়াহইয়া কুরবান মাত্র পাঁচ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে তুরস্ক চলে যান। পরে তিনি তুর্কি নাগরিকত্ব লাভ করেন।

২০১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তিনি এবং তার স্ত্রী আমিনে কুরবান (স্থানীয় বাসিন্দা) জিনজিয়াংয়ের রাজধানী ইউরুমকিতে দোকান পরিচালনার সময় আটক হন। ওই ঘটনার পর থেকে তুরস্কে থাকা তাদের চার সন্তান তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।  

ওই দম্পতির মেয়ে হানকিজ কুরবানের তৎপরতায় বেইজিংয়ে নিযুক্ত তুর্কি দূতাবাস খোঁজখবর শুরু করে। জিনজিয়াং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথোপকথনের পর তারাও ওই দম্পতির বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারেনি।

হানকিজ বলেন, গত ৪০ বছর ধরে আমার মা-বাবা তুরস্কের নাগরিক। আমরা চারজন তাদের সন্তান। আমরা সবাই ইস্তানবুলে জন্ম নিয়ে বেড়ে উঠেছি। আমার বাবা-মা জিনজিয়াংয়ে ফিরে গিয়ে ব্যবসা করছিলেন।  

তিনি আরো বলেন, উইচ্যাটে আমার মা ভয়েস ম্যাসেজ পাঠিয়েছিলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন, তিনি আর আমার বাবা পুলিশ স্টেশনে এক রাত কাটিয়েছেন। পুলিশ তাদের নিয়ে যাচ্ছিল, সে কারণে দূতাবাসে আমাদের যোগাযোগে করতে বলেছিলেন। সেটা ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালের ঘটনা। পরে আমি তাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাদের ফোন বন্ধ রয়েছে। তাদের ম্যাসেজ দিয়েও লাভ হয়নি।  

হানকিজ বলেন, আমি মনে করি, আমার বাবা-মাকে এজন্য আটক করা হয়নি যে, তারা কোনো অপরাধ করেছে। বরং তারা চীন সরকারের কুকর্ম জেনে ফেলেছিল বলে তাদের আটক করা হয়েছে। তুরস্কে তাদের ফিরে আসা ঠেকাতেই এটা করা হয়েছে। সূত্র: রেডিও ফ্রি এশিয়া

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২১
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।