ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

রেকর্ড ভাঙছে ফ্রিদা কাহলোর আত্মপ্রতিকৃতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
রেকর্ড ভাঙছে ফ্রিদা কাহলোর আত্মপ্রতিকৃতি

ফ্রিদা কাহলোকে বলা হয় মেক্সিকোর আধুনিক চিত্রকলায় সবচেয়ে মেধাবী এবং গুরুত্বপূর্ণ শিল্পী। তার একটি আত্মপ্রতিকৃতি ৩০ মিলিয়ন ডলার মূল্যে নিলামে তোলা হচ্ছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার দাম পড়ছে প্রায় ২৫৬ কোটি টাকা।

কোনো লাতিন আমেরিকান শিল্পীর তৈরি চিত্রকর্ম এই প্রথম এত দামে বিক্রি হবে। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) ফোর্বসসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নিলামকারী প্রতিষ্ঠান সোথবি’স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘দিয়েগো এবং আমি’ শিরোনামের ওই আত্মপ্রতিকৃতি ফ্রিদার সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া ছবি হতে যাচ্ছে। এর আগে ২০১৬ সালে ৮০ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছিল ফ্রিদার আরেকটি শিল্পকর্ম।

১৯৪৯ সালে মৃত্যুর মাত্র পাঁচ বছর আগে ‘দিয়েগো এবং আমি’ আঁকার কাজ শেষ করেছিলেন তিনি। ১৯৪০ এর দশকে এটিই তার আঁকা শেষ আত্মপ্রতিকৃতি। ছবিটি আগামী ৭ থেকে ১১ অক্টোবর হংকং ও ২২ থেকে ২৫ অক্টোবর লন্ডনে প্রদর্শিত হবে। নভেম্বরে এটি নিউইয়র্কে বিক্রির জন্য নিলামে উঠবে।

মেক্সিকান ম্যুরালিস্ট দিয়েগো রিভেরা ছিলেন ফ্রিদার দ্বিতীয় স্বামী। ১৯৪০ সালে বিচ্ছেদের এক বছরের মাথায় দিয়েগোকে ফের বিয়ে করেন ফ্রিদা। ‘দিয়েগো এবং আমি’ ছবিটি ফ্রিদা এঁকেছিলেন এক বিশেষ মুহূর্তে যখন তার ক্রমেই শারীরিক অসুস্থতা বাড়ছিল। সে সময় তার স্বামী রিভেরা অভিনেত্রী মারিয়া ফেলিক্সের সঙ্গে প্রেম করছিলেন। তিনিও ফ্রিদার বন্ধু ছিলেন।

অ্যাজটেক ও পূর্ব পুরাণ থেকে শুরু করে ঔষধি এবং উদ্ভিদবিদ্যার মতো বিষয়গুলো ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল ফ্রিদার ওপর। নিজের অসুস্থতা আর দিয়েগোর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ব্যক্তিজীবনে দ্বিধায় ছিলেন ফ্রিদা। ব্যক্তিগত এই বিষয়গুলোই আত্মপ্রতিকৃতিতে তুলে ধরেছিলেন তিনি।

মেক্সিকোর নিজস্ব ঐতিহ্যের প্রতীক এবং নারীবাদীদের কাছে নারীর অভিজ্ঞতা ও সৌন্দর্যের সাহসী প্রকাশের জন্য আলোচিত ও সমাদৃত ছিলেন ফ্রিদা। তবে তিনি যথেষ্ট বিতর্কিতও ছিলেন।

ফ্রিদার জন্ম ১৯০৭ সালে। দু’টি ঘটনা তার জীবনে গভীর ছাপ ফেলেছিল। ছয় বছর বয়সে পোলিওতে তার একটি পা খাটো হয়ে যায়। এরপর ১৮ বছর বয়সে এক ভয়ংকর বাস দুর্ঘটনা ঘটে তার জীবনে। সে সময় তাকে প্রায় ৩০টি অপারেশন করাতে হয়েছিল। এক পর্যায়ে ১৯৫৩ সালে তার পা দু’টি কেটে ফেলতে হয়। মেক্সিকোতে ফ্রিদার বাড়িটির নাম ছিল ‘লা কাসা আসুল’ বা নীল বাড়ি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।