ভারতের কেরালায় শিক্ষিকাদের শাড়ি পরার প্রথায় কয়েকজনের আপত্তির প্রেক্ষিতে এই চর্চা বন্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) কেরালার উচ্চশিক্ষামন্ত্রী আর বিন্দু বলেন, শিক্ষিকাদের শাড়ি পরতে জোরাজুরি করাটা রাজ্যের প্রগতিশীলতার পরিপন্থী।
ওইদিনই উচ্চশিক্ষা বিভাগ এ সংক্রান্ত নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এর আগে ২০১৪ সালের ৯ মে শিক্ষিকাদের শাড়ি পরার বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল রাজ্য সরকার।
তবে এরপরও বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষিকাদের শাড়ি পরতে বাধ্য করা হচ্ছিল। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে শুক্রবার নতুন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানান উচ্চশিক্ষামন্ত্রী।
আর বিন্দু বলেন, পোশাক নিয়ে সমালোচনা করা বা অন্যের ব্যক্তিগত পছন্দে হস্তক্ষেপ করার অধিকার কারও নেই। যে কেউ নিজের পছন্দ অনুযায়ী পোশাক পরতে পারবেন।
একসময় ত্রিশুরের কেরালা ভার্মা কলেজের অধ্যাপক ছিলেন আর বিন্দু। তখন নিয়মিত চুড়িদার পরতেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।
উচ্চশিক্ষামন্ত্রী জানান, কয়েকদিন আগে রাজ্যের কোডুঙ্গাল্লুরের এক প্রভাষকের সঙ্গে তার দেখা হয়। এ সময় ওই প্রভাষক জানান, প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকলেও কোডুঙ্গাল্লুরের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শর্ত রেখেছিল, সেখানে কাজ করতে চাইলে প্রতিদিন শাড়ি পরতে হবে।
প্রসঙ্গত, আবহমানকাল থেকে কেরালার নারীরা শাড়ি পরে আসছেন। সম্প্রতি এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২১
এনএসআর