ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বাইডেনকে ‘আগুন নিয়ে না খেলতে’ হুঁশিয়ারি শি’র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২২
বাইডেনকে ‘আগুন নিয়ে না খেলতে’ হুঁশিয়ারি শি’র

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এ পর্যন্ত পাঁচবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন জো বাইডেন। পঞ্চমবারের কথোপকথনে বাইডেনকে আগুন নিয়ে না খেলতে হুঁশিয়ারি করেছেন শি।

ছেড়ে কথা বলেনি মার্কিন প্রেসিডেন্টও।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুই ঘণ্টা ধরে কথা হয় এ দুই শীর্ষ নেতার। এ সময় তাইওয়ান ইস্যুতে একে অপরকে সতর্কবার্তা দেন শি-বাইডেন।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, তাইওয়ান নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অম্লতা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের ঘোষণার পর থেকে দুই দেশে বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

বৃহস্পতিবার বাইডেন-শি’র নির্ধারিত ফোনালাপেও বিষয়টি নিয়ে চর্চা হয়। এ সময় বাইডেনকে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে এক নীতি মেনে চলা উচিৎ। চীন দৃঢ়ভাবে তাইওয়ানের স্বাধীনতা ও অঞ্চলটিতে বহিরাগত শক্তির হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে।

শি বলেন, যারা আগুন নিয়ে খেলে তারা কেবল পুড়েই যাবে। আমি আশা করি যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি সহজেই বুঝতে পারবে।

নিজ দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভি এ খবর প্রকাশ করে।

হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপের সময় জো বাইডেনও বেশ শক্ত কথা বলেছেন। তিনি জানান, তাইওয়ানের বিষয়ে মার্কিন নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাইওয়ান প্রণালীজুড়ে স্থিতিশীলতা পরিবর্তন বা শান্তি নষ্টের যেকোনো একতরফা প্রচেষ্টার বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্র। মনে রাখতে হবে, দ্বীপটি চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা।

বাইডেন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দুই নেতার ফোনালাপের পর জানিয়েছেন, তার প্রেসিডেন্ট তাইওয়ানে বিশেষ যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরিতে উন্মুক্ত লাইন বজায় রাখতে জোর দিয়েছেন। এ ছাড়া দুজন জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং মাদকবিরোধী অবস্থানসহ পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়েও আলোচনা করেন।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শি ও বাইডেন তাদের নিজ নিজ দেশের পারস্পরিক যোগাযোগ বজায় রাখার ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। শি জিনপিং বলেছেন, সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি, বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা রক্ষার জন্য দুই দেশেরই যোগাযোগ উন্নত করা উচিৎ।

মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, পাঁচবারের ফোনালাপের পর বাইডেন ও শি প্রথমবারের মতো মুখোমুখি বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করেছেন। নিজ নিজ প্রতিনিধিদের বিষয়টি নিয়ে নির্দেশনাও দিয়েছেন তারা।

এর আগে মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর নিয়ে বড়সড় হুমকি দিয়েছিল চীন। বেইজিং জানায়, ন্যান্সি যদি তাইওয়ান সফর করতে আসেনই, গুরুতর ভোগান্তি পোহাতে হবে ওয়াশিংটনকে। পরিণতিও হবে মারাত্মক।

সূত্র : আল জাজিরা

বাংলাদেশ সময় : ০৯৪৫ ঘণ্টা, ২৯ জুলাই, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।