ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সাক্ষাৎকার

দিনাজপুরে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চান জাহাঙ্গীর

মাহিদুল ইসলাম রিপন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৬
দিনাজপুরে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চান জাহাঙ্গীর ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

দিনাজপুর: অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করে আধুনিক শহরে পরিণত করে দিনাজপুরবাসীকে উপহার দিবো। দিনাজপুরবাসীর দীর্ঘদিনের চাওয়া ঘাগড়া ক্যানেল খনন কাজও এবার সম্পন্ন করবো।



উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে দিনাজপুর শহরের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র শিশুপার্কটিতে। এছাড়া দিনাজপুর শহরের কালিতলার দিনাজপুর নিউ মার্কেটে (পৌর মার্কেট) একটি বহুতল মার্কেট ভবন তৈরি করা হবে। সংস্কার করা হবে শহরের সব রাস্তা-ঘাট। পানিবন্দি এলাকায় পানি নিষ্কাশনের জন্য নতুন করে তৈরি করা হবে ড্রেন।

সবকিছু মিলিয়ে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রেখে দিনাজপুর শহরকে আধুনিক শহরে রূপান্তরিত করা হবে।

এমনই সব প্রত্যাশা পূরণের কথা বললেন দিনাজপুর পৌরসভার টানা দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত পৌরপিতা সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম।

১৯৬৯ সালের ১ এপ্রিল গঠিত হয় দিনাজপুর পৌরসভা, যা প্রথম শ্রেণী হিসেবে উন্নিত হয় ১৯৯০ সালের ৪ ডিসেম্বর। ২৪.৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ২৩টি মৌজায় ১২টি ওয়ার্ড নিয়ে এ পৌরসভাটি গঠিত। প্রাচীন এ পৌর শহরে বর্তমান জনসংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার ৩৪৩ জন। যার মধ্যে ৭৬ হাজার ৬৪৪ জন নারী ও ৮০ হাজার ৬৯৯ জন পুরুষ।

প্রাচীন এ পৌরসভায় স্বাধীনতার পর টানা দুইবার পৌরপিতার আসন ধরে রাখলেন সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম।

১৯৬৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ী এলাকায় পুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল আলম ও সৈয়দা রেজিয়া বেগমের ঘরে জন্ম নেন বর্তমান দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম।

স্কুল জীবনে প্রথমে নির্মল শিশু বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে দিনাজপুর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি পাস করার পর দিনাজপুর সরকারি কলেজে শিক্ষা জীবন শেষ করেন তিনি।

১৯৭৫ সালে ৭ই নভেম্বর থেকে ছাত্র রাজনীতি দিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিকভাবে পথচলা। দিনাজপুরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেও তাকে জানেন বর্তমান ছাত্রদলের নেতারা।

দিনাজপুর পৌরসভায় দ্বিতীয়বারের নির্বাচিত মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজের কাছে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, দিনাজপুরে বিগত সময়ের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার সুযোগ দিয়েছে পৌরবাসী। তাই নির্বাচনে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি যথাযোগ্যভাবে পালন করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবো।

ইতোমধ্যে দিনাজপুর শহরের মুন্সিপাড়া-নিমতলা, পৌরসভা মোড়-শষ্টিতলা, ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে পুলহাট মোড়সহ বিভিন্ন রাস্তা সংস্কার করার জন্য টেন্ডার আহ্বানের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

দিনাজপুর পৌর মার্কেট ভবন তৈরির জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে। শহরের প্রাণকেন্দ্র দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘাগড়া ক্যানেল খনন কাজের বরাদ্দও পাওয়া গেছে।

দিনাজপুর শহরের একমাত্র শিশুপার্কটিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগাতে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। আশাকরি দ্রুত পেয়ে যাবো। বর্ষাকালে দিনাজপুর গোলকুঠি-বাহাদুর বাজার এলাকায় পানি জমে থাকে তাই সেখানে একটি ড্রেনের ব্যবস্থাও করা হবে।

বাংলানিউজের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইতোপূর্বে আমি দিনাজপুর শহরের বাহাদুর বাজার মৎস্য হাটি, রেল বাজার হাট, জিলা স্কুল সংলগ্ন ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করেছি। শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য জেলা কারাগারের সামনে ঝর্ণা চত্বর নির্মাণ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, দিনাজপুর শহরের মানুষ আমাকে পুনরায় নির্বাচিত করায় আমি তাদের কাছে চির কৃতজ্ঞ। তাই উন্নয়নের স্বার্থে আমি নিজেকে উজাড় করে দিয়ে কাজ করে যাবো। নির্বাচন কালীন যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা অক্ষরে অক্ষরে পালনের চেষ্টা করবো।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।