ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সাক্ষাৎকার

নগরকান্দাকে মাদক মুক্ত করতে চান রায়হান

রেজাউল করিম বিপুল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৬
নগরকান্দাকে মাদক মুক্ত করতে চান রায়হান ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ফরিদপুর: ফরিদপুরের নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র রায়হান উদ্দিন ওরফে রাব্বেল মাস্টার বলেছেন, শহর থেকে মাদক গ্রামে প্রবেশ করেছে। যেকোনো সুবিধা শহরের মানুষ যেমন আগে পান, পরে তা ক্রমান্বয়ে গ্রামে এসে পৌছায়।

ঠিক তেমনি করে মাদক বা  ইয়াবাও শহর থেকে এখন গ্রামে এসে পৌঁছেছে।

তিনি বলেন, ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার নগরকান্দা পৌরসভাটি কিন্তু এক রকমের গ্রামই বলা চলে। এ পৌরসভার অধিকাংশ মানুষই খেতে খামারে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। অত্যন্ত  পরিশ্রমী এ অঞ্চলের মানুষ। কিন্তু যুবকদের মধ্যে মাদক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাটিতে। এখন নগরকান্দার বেশ কয়েকটি স্পটে ফেনসিডিল ও ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক বিক্রি হয়। এতে করে ওই পরিশ্রমী মানুষগুলোর স্বপ্ন শেষ হয়ে যাচ্ছে।

মাদকে কেড়ে নিচ্ছে তাদের সন্তানদের ভবিষ্যত। তাই এই এলাকার মাটি মানুষের নেতা সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আয়মন আকবর চৌধুরী বাবলু মামার নিদের্শ মোতাবেক প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে এই মাদক নির্মূল করাই আমার বড় টার্গেট।

তিনি বলেন, এর বাইরে পৌর নাগরিককে সেবা দেওয়া, এলাকার উন্নয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সারা দেশেই বর্তমান সরকার উন্নয়ন করে যাচ্ছে। আমিও আপ্রাণ চেষ্টা করে এ এলাকার রাস্তাঘাট, মসজিদ মন্দিরসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে ভূমিকা রাখবো।

রায়হান বলেন, ‘পৌরভবন হয়নি ১৭ বছরেও’- এ নিউজ বাংলানিউজে আমি দেখেছি। তাই তখনই কথা দিয়েছিলাম যেকোনো মূল্যে পৌরভবন করবো। এরই মধ্যে তার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি। শিগগিরই পৌরসভার নিজস্ব জমি ও ভবন  হবে।

তিনি বলেন, পৌরসভা সৃষ্টির শুরু থেকে দীর্ঘদিন নগরকান্দা পৌরসভায় বিএনপির নেতারা চেয়ারম্যান ও মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন। তারা নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়ন করেছেন। পৌরসভার দিকে ঘুরেও তাকাননি। কোনো উন্নয়ন হয়নি পৌর এলাকায়। একটি জরাজীর্ণ ভবনে চলে পৌরসভার কার্যক্রম। তাই এবার এর পরিবর্তন করবো।

তিনি বলেন, প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছি। ভোটাররা তাদের রায় পরিবর্তনে মরিয়া হয়েছিলেন। তারা যে কোনো সেবা পাননি, তা ভোটের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন।  

রায়হান  বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকেই রাজনীতিতে আসা। ১৯৬২ সালে মেট্রিক পাস করি। তারপর পাবলিক হেলথ অ্যাসিসটেন্ট হিসেবে চাকরিতে যোগ দেই। এরপর চাকরি ছেড়ে ১৯৭৪ সালে শিক্ষকতা পেশায় আসি। দীর্ঘ ৩৭ বছর শিক্ষকতা করে অবসরে গিয়েছি।

এরপর ভাবলাম, মানুষের সেবা করবো। তবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে। চাকরি জীবনেও যতোটুকু পেরেছি আদর্শ ধরে রেখেছিলাম। কিন্তু নিয়ম-নীতির কারণে তার প্রকাশ করতে পারি নাই।

তিনি বলেন, আমার বর্তমান বয়স ৭২ বছর। শেষ জীবনে চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। মানুষের মাঝে থেকে তাদের সেবা করেই বাকি জীবন যেন কাটিয়ে দিতে পারি। তাই বেঁচে থাকলে আগামী নির্বাচনেও অংশগ্রহণের ইচ্ছা আছে।

প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংসদ সদস্যের চেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মেয়র, চেয়ারম্যান, মেম্বাররা সাধারণ মানুষের বেশি কাছে থাকেন। তাই কথা বলার সুযোগ বা দাবি করার সুযোগটাও মানুষ এখানেই বেশি পান। স্থানীয় সরকারের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতাও তাই অনেক বেশি।

তিনি বলেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করে অনেক সুবিধা হয়েছে। পাশাপাশি এটাও বোঝা গেছে যে, বিএনপি তাদের যে জনপ্রিয়তার কথা বলে, সেটা শুধু মুখের কথাই। কাজে তেমন জনপ্রিয়তা নেই, এ নির্বাচনে কিন্তু সেটা স্পষ্ট হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৬
আরকেবি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।