ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

ওরস স্পেশাল ট্রেনে মেদিনীপুরে যাচ্ছে ২২শ যাত্রী

কাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
ওরস স্পেশাল ট্রেনে মেদিনীপুরে যাচ্ছে ২২শ যাত্রী

রাজবাড়ী: প্রতিবছরের মতো এবারও পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের জোড়া মসজিদে ১২৩তম বার্ষিক ওরস শরীফ উপলক্ষে রাজবাড়ী থেকে ২২শ’র বেশি যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাবে একটি ওরস স্পেশাল ট্রেন।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় রাজবাড়ী রেলস্টেশন থেকে ২৪টি বগি সম্বলিত ট্রেনটি ভারতের উদ্দেশে যাত্রা করবে।

ওরস শেষে ট্রেনটি ১৯ ফেব্রুয়ারি ফিরে আসবে।

বাংলাদেশ-ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই ওরস স্পেশাল ট্রেনটি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে। তবে মহামারি করোনার কারণে ২০২১ ও ২০২২ সালে ওরস স্পেশাল ট্রেন যায়নি। ভারতের মেদিনীপুরের সঙ্গে মিল রেখে একইদিন রাজবাড়ীর বড় মসজিদ খানকা শরিফে নানা আনুষ্ঠানিকতা হয়।

এদিকে ওরস স্পেশাল ট্রেনটিকে কেন্দ্র করে ওইদিন রেলস্টেশন এলাকায় প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার লোকের সমাগম ঘটে। রেললাইনের পাশ দিয়ে মুখরোচক খাবারসহ হরেক রকমের দোকান সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। এ সময় কেউ আসেন ট্রেন দেখতে, কেউবা আসেন ঘুরতে। আবার কেউ আসেন ট্রেনে চুম্বন ও সালাম করতে। এছাড়া কাদেরিয়া তরিকার ভক্ত ও মুরিদানরা আসেন মানত করা টাকা, হাঁস, মুরগি, কবুতর, ছাগলসহ ইত্যাদি দিতে। এদিন সকাল থেকেই ট্রেনটি সাজানো ও পরিষ্কারের কাজ করতে থাকেন ভক্ত ও মুরিদানরা।

মেদেনীপুরের মুরিদান রেজাউল হোসেন খান ও গোলাই মণ্ডল বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ী থেকে মেদিনীপুরের ওরসে একটি ট্রেন যায়। সেই ট্রেনে অনেকে বিভিন্ন কারণে যেতে পারে না। ফলে মেদিনীপুরের সঙ্গে মিল রেখে রাজবাড়ী বড় মসজিদ খানকা শরিফেও ওরস করা হয়। ওরস উপলক্ষে গেট নির্মাণ, মসজিদ রংসহ নানা কাজ চলছে। এখানেও হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়।

রাজবাড়ী আঞ্জুমান-ই-কাদেরিয়ার সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আজিজ কাদেরী খোকন বলেন, মেদিনীপুরের জোড়া মসজিদে আল মেদিনীপুরী (আ.) মশহুর নাম ‘মওলাপাক’র ১২৩তম ওরস শরীফ উপলক্ষে রাজবাড়ী আঞ্জুমান-ই-কাদেরিয়ার ২ হাজার ২শ’র বেশি ওরস যাত্রীর ভিসাসহ প্রায় সব কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। আজ রাতে ট্রেনটি ছেড়ে যাবে এবং ওরস শেষে ফিরে আসবে ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে। মেদিনীপুরের সঙ্গে মিল রেখে রাজবাড়ীর বড় মসজিদ খানকা শরিফেও ওরস অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও বলেন, ওরস শরিফে যাওয়ার জন্য হাজার হাজার ভক্ত ও মুরিদান আবেদন করেন। কিন্তু ব্যবস্থা না থাকায় সবাইকে নিতে পারেন না। যে কারণ লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত করে পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা সম্পন্ন করেন। তবে অনেকে সড়ক পথসহ অন্যান্যভাবে মেদেনীপুরের ওরস শরিফে যান।

রাজবাড়ী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমনাথ বসু জানান, ওরস স্পেশাল ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে স্টেশন এলাকায় ওরস যাত্রীসহ প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। যাত্রী ও জনগণের জানমাল রক্ষায় তারা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেবেন। এছাড়া স্টেশন এলাকা সিসি টিভির আওতায় থাববে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।