ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

বায়তুল মোকাররমে বসুন্ধরার ইফতার পেলেন মুসল্লিরা, করলেন দোয়া

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৪
বায়তুল মোকাররমে বসুন্ধরার ইফতার পেলেন মুসল্লিরা, করলেন দোয়া ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: প্রথম দুই রোজার মতো তৃতীয় রোজায়ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে তিন হাজারের বেশি মুসল্লির মধ্যে ইফতার বিতরণ করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। ইফতার পেয়ে রোজাদাররা এই শিল্পগ্রুপের জন্য দোয়া করেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) আসরের নামাজের পরপরই ইফতারের আয়োজন চলতে থাকে বায়তুল মোকাররমে। দুস্থ-ছিন্নমূল মানুষ এবং মুসাফিরসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ সারিবদ্ধভাবে বসতে থাকেন ইফতারের জন্য।

এরপর বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষ থেকে তাদের সামনে ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হতে থাকে।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী বলেন, প্রথম রোজা থেকে প্রতিদিন এখানে মুসল্লিদের ইফতার দেওয়া হচ্ছে। ১০ রোজা থেকে মুসল্লির সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আমরা মনে করছি। বাড়তি মুসল্লির ইফতারও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর সরবরাহ করবেন।

তিনি বলেন, আমি পবিত্র মক্কা ও মদিনা সফর করেছি। সেখানে ইফতারের সময় হলেই ইফতার সামগ্রী এসে হাজির হয়ে যায়। মুসাফির-ছিন্নমূল মানুষের খাওয়ার ব্যবস্থা হয়। যে যত খেতে পারে। তখন মনে মনে ভাবতাম আমাদের দেশেও যদি এমন ব্যবস্থা হতো, আমাদের দেশের সামর্থ্যবান মানুষ এমন করে এগিয়ে এলে কতোই না ভালো হতো। মুসাফির, কম আয়ের মানুষ, মসজিদের মুসল্লি, ছিন্নমূল মানুষ, ভবঘুরে মানুষ একসঙ্গে ইফতার করতে পারতো। দেশে লাখ লাখ কোটিপতি আছেন। তারা এসব মুসল্লির জন্য এগিয়ে আসেননি। এগিয়ে এসেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। তিনি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা। আগেও দুই বছর তিনি জাতীয় মসজিদের এই মুসল্লিদের ইফতার করিয়েছেন। মসজিদে এলেই মানুষ ইফতার পাচ্ছেন। এজন্য মানুষ প্রতিদিনই বাড়ছে। এটা জাতীয় মসজিদের একটি মর্যাদায় পরিণত হয়েছে। আর সে কাজটি করেছেন সায়েম সোবহান আনভীর।  
তিনি বলেন, দূর দূরান্ত থেকে ধনী-গরিব নির্বিশেষে মানুষ আসেন। তারা নামাজ পড়েন। অনেকে আসরের নামাজ শেষ হওয়ার পর মাগরিবের নামাজও পড়ে যেতে চান। মাঝে আমরা তাদের ইফতার সরবরাহ করি। এখানে তাদের অনেক উপকার হয়। কোনো হইচই নেই, নেই কোনো বিশৃঙ্খলা। শান্তিপূর্ণভাবে মানুষ ইফতার গ্রহণ করে।

দিনাজপুর থেকে কাজে ঢাকায় এসেছেন মো. সামসুল হুদা। তিনি নামাজ পড়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মসজিদেই ইফতারের ব্যবস্থা আছে শুনে আর বাইরে যাননি। তিনি বলেন, শুনেছি বসুন্ধরা গ্রুপ এটা ব্যবস্থা করেছে। এটা খুব ভালো। আল্লাহ বসুন্ধরা গ্রুপের আরও সমৃদ্ধি দিক। তাদের দেখে অন্য সামর্থ্যবানদেরও এগিয়ে আসা উচিত।

কুমিল্লা থেকে থেকে ঢাকায় এসেছেন মাওলানা মো. সাইফুল্লাহ। তিনিতে গাড়িতে না উঠে মসজিদে এসেছেন নামাজের জন্য। এসে দেখছেন বসুন্ধরা গ্রুপ ইফতারের ব্যবস্থা করেছে। সাইফুল্লাহ বলেন, ভালোই হলো ইফতারের জন্য আর বাইরে যেতে হলো না। ইফতার করে বাড়িতে রওনা দেব।

বায়তুল মোকাররমে প্রতিদিন হাজারো মুসল্লি নামাজ পড়েন। তারা এই ইফতারিতে অংশগ্রহণ করছেন। তেমনই একজন ওমর ফারুক। ইফতারি পেয়ে তিনি বেজায় খুশি। তিনি বলেন, এটা খুবই ভালো হয়েছে। ব্যবস্থাপনাও খুব ভালো।  

এসব ধর্মপ্রাণ মানুষ তাদের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করায় বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য দোয়া করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৪
জেডএ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।