ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

সুশৃঙ্খলভাবে বায়তুল মোকাররমে বসুন্ধরার ইফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২৪
সুশৃঙ্খলভাবে বায়তুল মোকাররমে বসুন্ধরার ইফতার

ঢাকা: বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পবিত্র রমজান মাসজুড়ে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে রোজাদারদের মধ্যে ইফতার বিতরণ কার্যক্রম চলছে। প্রতিদিন তিন হাজারের বেশি রোজাদারের উপস্থিতিতে এই আয়োজন সুশৃঙ্খলভাবে চলমান রেখেছে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটি।

বুধবার (৩ এপ্রিল) বায়তুল মোকাররমে রোজাদারদের উৎসবমুখর অংশগ্রহণ দেখা গেছে। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষ থেকে মাসব্যাপী এই ইফতার বিতরণ করা হচ্ছে।

মুসল্লি কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী বলেন, ‘২৩তম রোজায়ও আমরা সুশৃঙ্খলভাবে মুসল্লিদের ইফতার করাতে পারলাম। এ বছর তৃতীয়বারের মতো বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে এখানে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতিদিন তিন হাজার রোজাদারকে ইফতার করানো হচ্ছে। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর প্রতিনিয়ত ইসলামের খেদমত করে যাচ্ছেন। আমরা পাশে থাকার চেষ্টা করছি। ’

মুসল্লি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক বলেন, ‘এখানে রোজাদারদের ইফতারে যেন কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য সায়েম সোবহান আনভীর সুন্দর ব্যবস্থাপনা করেছেন। সব শ্রেণির মানুষ বসুন্ধরার ইফতার আয়োজনে উত্ফুল্লভাবে অংশ নিচ্ছে। ’

দেখা যায়, আসরের নামাজের পর থেকেই সারিবদ্ধভাবে মসজিদের বারান্দায় বসে পড়েন উপস্থিত মুসল্লিদের বেশির ভাগ। ইফতারের আগেই বারান্দা কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। ইফতারের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রিকশাচালক থেকে শুরু করে বেসরকারি চাকরিজীবী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, ভবঘুরে, বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ বারান্দায় ইফতারের জন্য সারিবদ্ধভাবে বসে পড়েন।

প্রতিদিন ইফতারের আগ মুহূর্তে উপস্থিত রোজাদাররা মোনাজাতে বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য দোয়া করেন। এ সময় ব্যবসায়িক উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখতে এবং মানবতার জন্য কাজ করে যাওয়ার তাওফিক প্রত্যাশা করা হয়।

সাব্বির রহমান নামে এক হকার বলেন, ‘চার্জার লাইটসহ ছোটখাটো জিনিস বিক্রির দোকান আছে আমার। ইফতারের আগে দোকান বন্ধ করে এখানে চলে আসি। হাজার হাজার রোজাদারের সঙ্গে ইফতার করতে ভালো লাগে। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২৪
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।