শেষ নবী হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে মসজিদ ছিল মুসলমানদের যাবতীয় জ্ঞান অর্জনের কেন্দ্র।
এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানেও মসজিদের ইমাম-খতিবরা সমবেত মুসল্লিদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় উপদেশ দেন।
মসজিদ হচ্ছে, মুসলমানদের ইবাদত-বন্দেগি থেকে শুরু করে শিক্ষা-দীক্ষা, দ্বীন প্রচার-প্রসার ও দ্বীনি জ্ঞানচর্চার পবিত্র স্থান।
মসজিদ মুসলমানদের কাছে ইবাদতের স্থান হিসেবে পরিচিত। এর পরও মসজিদে এমন কিছু কাজ হতে দেখা যায়, যা মসজিদের পবিত্রতাকে নষ্ট করে দেয়।
তাই মসজিদের পবিত্রতার জন্য কোরআন-হাদিসের নিষিদ্ধ বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। পবিত্রতা নষ্ট হয় এমন কাজ থেকে মসজিদকে রক্ষা করতে হবে।
১. মসজিদে হারানো বস্তু তালাশ করা যাবে না। কারণ, মসজিদে দ্বীনের কথা বা কাজ ব্যতীত অন্য কথা বা কাজ করা নিষেধ। -মেশকাত: ৬৫৪
২. মসজিদে দুর্গন্ধময় কোনো জিনিস নিয়ে প্রবেশ করা নিষেধ। -মেশকাত: ৬৫৫
৩. মসজিদে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না। -মেশকাত: ৬৭৭
৪. মসজিদে উচ্চৈঃস্বরে ও দুনিয়াবি কথাবার্তা বলা যাবে না। -মেশকাত: ৬৮৯
৫. মসজিদে অপরাধীর শাস্তি ও শাসন করা যাবে না। -মেশকাত: ৬৭৯
৬. মসজিদে রাজনৈতিক মিটিং করা মসজিদের আদবের খেলাপ। -ফাতাওয়া রহিমিয়া: ৬/১০৫
৭. মসজিদের ভেতরে প্রতি ওয়াক্ত নামাজ একই স্থানে আদায় করার জন্য কোনো নামাজি লোক স্থান নির্দিষ্ট রাখতে পারবে না। যে যেখানে এসে প্রথমে স্থান নেবে, সেই সেখানে নামাজ আদায় করবে। একে অপরকে উঠিয়ে বসা যাবে না। -রদ্দুল মুহতার: ১/৬৩০
৮. আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) সম্পর্কে অথবা উপদেশমূলক যেকোনো কবিতা পাঠ করা বৈধ। এছাড়া অন্য কবিতা আবৃত্তি মাকরুহ। কিন্তু কবিতা পাঠে নামাজিদের ক্ষতি হতে পারবে না। -রদ্দুল মুহতার: ১/৬১৯
৯. হাকিম ইবনে হিজাম (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) নিষেধ করেছেন মসজিদে হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে এবং সেখানে কবিতা পাঠ করতে ও শাসন কায়েম করতে। -মেশকাত: ৬৭৯
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৪
আরএ