ঢাকা: তাবলিগ শব্দের অর্থ প্রচার। তাবলিগ বলতে ইসলাম ধর্মের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের প্রচার-প্রসারকে বুঝায়।
ইজতেমা- সমাবেশ, মহাসমাবেশ। তাবলিগ- পৌঁছানো, প্রচার করা। আমির- দলপতি, নেতা। রাহবার- পথপ্রদর্শক। মামুর- আমিরের অনুসরণকারী। মুতাকাল্লিম- কথক, বক্তা। দাঈ- দ্বীনের পথে আহবানকারী। গাশত- দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে চলাফেরা করা। উমুমি গাশত- জনসাধারণের উদ্দেশ্যে দলবদ্ধভাবে দ্বীনের দাওয়াতের জন্য গমন। খুসুসি গাশত- বিশেষ কাউকে দাওয়াত দেওয়ার জন্য গমন। তাশকিল- জামাত গঠনের জন্য বিশেষ দাওয়াত। তালিম- দ্বীন শিক্ষার আসরবিশেষ, তাবলিগে সাধারণত ফাজায়েলে আমল নামক একটি কিতাব একজন পাঠ করে অন্যরা তা শুনে এটাকে তালিম বলে। বয়ান- বক্তৃতা। আম বয়ান- সবার উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতা। খাস বয়ান- বিশেষ কোনো শ্রেণীর জন্য প্রদত্ত বক্তৃতা। তায়ারুফি বয়ান- কোনো স্থানে জামাত যাওয়ার পর সেখানকার দেওয়া পরিচিতিমূলক বয়ান।
ছয় নম্বর- তাবলিগ যে ছয়টি মূলনীতির ভিত্তিতে দাওয়াতের কাজ করে তাকে ছয় নম্বর বা ছয় উসূল বলে। ইকরাম- সম্মান দেখানো, সহযোগিতা বা সেবা করা। ইস্তেকবাল- অভ্যর্থনা করা। খেদমত- সেবা করা, এখানে জামাতের সাথীদের খাবার আয়োজনের দায়িত্বকে বুঝায়। মাশওয়ারা- পরামর্শ। সামানা- আসবাবপত্র। খিত্তা- টুকরো জায়গা, ইজতেমা মাঠের এলাকা নির্ধারক স্থান বিশেষ। এক চিল্লা- আল্লাহর রাস্তায় দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে ৪০ দিনের জন্য বেরিয়ে পড়া। তিন চিল্লা- চার মাস মেয়াদে আল্লাহর রাস্তায় বেরিয়ে পড়া। সাল- এক বছর আল্লাহর রাস্তায় কাটানো। জোড়- বিভিন্ন স্তরের সাথীদের নিয়ে বিশেষ সম্মেলন। শবগুজারি- তাবলিগের মারকাজে রাতযাপন, সাধারণত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত মসজিদে কাটানোকে শবগুজারি বলে। নুসরত- সাহায্য করা অর্থাৎ বহিরাগত জামাতের কাজে সহযোগিতা করা। উসুল- আদায় করা অর্থ হলেও এখানে তাবলিগের জন্য কাউকে রাজী করে বের করে আনা অর্থে ব্যবহৃত হয়। মোজাকারা- পরস্পরে আলাপ-আলোচনা। জুড়নেওয়ালে জামাত- যারা ইজতেমার মাঠ থেকেই জামাতে যাওয়ার জন্য প্রস্তত হয়। এলান- ঘোষাণা। মেহনত- পরিশ্রম। জিম্মাদার- দায়িত্বশীল।
জামাত- দল, সাধারণত একটি জামাতে ১৫/১৬ জন লোক থাকে। হজরতজি- কোনো সম্মানিত ব্যাক্তিকে ভক্তিভরে এ নামে ডাকা হয়। তবে তাবলিগের পরিভাষায় তাবলিগের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস (রহ.), ইউসুফ (রহ.) ও এনামুল হাসান (রহ.)- এই তিনজনকে হজরতজি নামে ডাকা হয়। আখেরি মুনাজাত- শেষ মুনাজাত, ইজতেমা শেষে কৃত মুনাজাতকে আখেরি মুনাজাত বলা হয়। মুরুব্বি-অভিভাবক, এখানে নেতৃস্থানীয়দের বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। মারকাজ- কেন্দ্র, তাবলিগের কাজ যেখান থেকে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশে তাবলিগের মূল মারকাজ হলো- কাকরাইল মসজিদ। আর দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদ হলো- বিশ্ব তাবলিগের মূল কেন্দ্র। এছাড়া প্রত্যেক জেলায় একটি করে তাবলিগের মারকাজ রয়েছে। হালকা- এলাকাভিত্তিক ভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৫