ভারতের প্রখ্যাত সুফি হজরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রহ.)-এর দরগায় চাদর পাঠালেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক হোসেন ওবামা। ওবামার পাঠানো চাদরটি সোমবার সকালে (২০ এপ্রিল) ৮০৩ তম উরস উপলক্ষে দরগায় চড়ানো হয়।
প্রেসিডেন্ট ওবামার পক্ষ থেকে ভারতে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত রিচারড ভার্মা, ডেপুটি চিফ মাইকেল প্লেটিয়ের এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) এই চাদর আজমীর শরিফের চিশতী ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর হাজী সৈয়দ সালমান চিশতীর হাতে তুলে দেন। তারা চাদরটি আজমীর শরিফের দরগায় দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। কর্তৃপক্ষ তাদের এই অনুরোধ রক্ষা করেছেন বলে এনডিটিভি তাদের অনলাইনে জানিয়েছে।
চাদর হস্তান্তর প্রসঙ্গে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রহ.)-এর ২৭ তম বংশধর সৈয়দ সালমান চিশতী জানান, ‘এটা একটি ঐতিহাসিক দিন এবং শুভেচ্ছার মুহূর্ত। এক অদক্ষিণ এশীয় রাষ্ট্রপ্রধান কর্তৃক আজমীর শরিফে এই প্রথম চাদর দেয়া হলো। ’
তিনি বলেন, ‘এর আগে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীসহ অন্য নেতারা বিশেষ করে পাকিস্তান এবং শ্রীলংকা থেকেও এরকম চাদর এবং উপহার সম্মানের সঙ্গে দেয়া হয়েছে। এই প্রথম দক্ষিণ এশিয়ার বাইরের কোনো দেশের প্রধান আজমীর শরিফের জন্য চাদর পাঠালেন। এতে বিশ্ব শান্তির জন্য অন্য সম্প্রদায়ের মধ্যেও ভালো বার্তা পৌঁছাবে বলে আমাদের বিশ্বাস। ’
এদিকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও একটি চাদর পাঠান আজমীর শরিফে। অবশ্য চাদর চড়াতে মোদি নিজে যাননি। তার হয়ে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি এই চাদর চড়ান।
ভারতের আজমীর শরিফে বিভিন্ন উপলক্ষ্যে চাদর চড়ানোর প্রথা নতুন নয়। ভারতের বিভিন্ন ধর্মের নেতা থেকে শুরু করে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা চাদর চড়িয়ে থাকেন। এটা নিয়ে ধর্মবিদদের নানা মত রয়েছে। শান্তিবাদী ধর্মীয় নেতারা এটাকে বাড়াবাড়ি বলে মনে করেন। তাদের যুক্তি, এভাবে কবরকে সম্মান জানানোর রীতি ও প্রথা ইসলাম অনুমোদন করে না। এমন কাজ থেকে মুসলমানদের বিরত থাকাই শ্রেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘন্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৫
এমএ/