বাংলাদেশে ইসলামের প্রবশেদ্বার বলা হয় চট্টগ্রামকে। চট্টগ্রামের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে বহু ঐতিহাসিক নিদর্শন।
মসজিদের গায়ের শিলালিপি অনুসারে ১৬৬৬ খৃস্টাব্দে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার আমিরাবাদের মোহাম্মদ খান ছিদ্দিকী (রহ.) নায়েবে উজির জামে মসজিদটি নির্মিত হয়।
মুঘল আমলে নির্মিত আয়তাকার আকৃতির এ মসজিদের ৩টি বড় গম্বুজ রয়েছে, যা স্থাপত্য শৈলীর অপূর্ব নিদর্শন। মসজিদের উত্তর পাশে দীঘি, পূর্ব পাশে পুকুর রয়েছে। মসজিদের নামে ৩৬০ দ্রোন জমি বরাদ্দ ছিল। এই ঐতিহাসিক মসজিদে এক সঙ্গে প্রায় ৭শ’ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।
মোহাম্মদ খান সম্রাট শাহজাহানের নায়েবে উজির ছিলেন। তিনি তাঁকে মহাস্থানগড় গৌড় রাজ্যের অধিপতি নিযুক্ত করেন। সম্রাট আওরঙ্গজেব মামা শায়েস্তা খানকে বাংলার সুবেদার নিযুক্ত করায় মোহাম্মদ খান অভিমান করে মহাস্থানগড়ের অধিপতি ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম প্রচারে মনোনিবেশ করেন।
মোহাম্মদ খানের পরবর্তী বংশধররা এখনও এই এলাকায় আছেন। চট্টগ্রামকে যেমন ওলি-দরবেশের পুণ্যভূমি বলা হয় তেমনি ইসলামী শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র মনে করা হয় চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়াকে।
মসজিদটি মুঘল আমলের মুসলিম স্থাপত্যের প্রাচীন নিদর্শন। মসজিদটিকে ঘিরে রয়েছে এলাকার ইতিহাস ও ঐতিহ্য। কিন্তু ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যাচ্ছে এ ঐতিহ্য। বস্তুত প্রাচীন এ নিদর্শনটি কালের সাক্ষী হয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ইতিহাস ও ঐতিহ্য লালন করে আসছে। এলাকাবাসীর দাবী, মুঘল আমলে নির্মিত এ মসজিদের অপূর্ব স্থাপত্য শৈলী সংরক্ষণে রাখার ব্যবস্থা করা হোক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘন্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৫
এমএ