বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা ইউরোপ মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে বলকান উপদ্বীপে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। অতীতে এটি যুগোস্লাভিয়া প্রজাতন্ত্রের অংশ ছিল।
সারায়েভো বসনিয়ার রাজধানী ও বৃহত্তম শহর।
বসনীয়দের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর প্রথমদিকে ৮০০ এর অধিক বেশি মসজিদ সার্ব ও ক্রোটরা ধ্বংস করে। এর মধ্যে বেশ কিছু ঐতিহাসিক মসজিদ রয়েছে। এসবের মাঝে ১৫৮৩ সালে নির্মিত ফরহাদিয়া জামে মসজিদ, ফোসা এলাকায় সুলতান বায়েজিদ রাজকীয় মসজিদ, আলাদজার মসজিদ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
বসনিয়ার মোট জনসংখ্যা ৪৮ লাখ। দেশটির প্রায় ৪৩ শতাংশ জনগণ মুসলমান।
কমিউনিস্ট শাসনাধীন সাবেক যুগোস্লাভিয়া প্রজাতন্ত্রের অংশ থাকাকালে বসনিয়ায় মুসলিম নারীদের হিজাব ও ধর্মকর্ম নিষিদ্ধ ছিল।
সেই বসনিয়ার এক কিশোর এক অনন্য নজির গড়ল। বসনিয়ার সর্বকনিষ্ঠ কোরআনে কারিমের হাফেজের স্বীকৃতি পেল আবদুর রহমান নামের ১০ বছর বয়সি এক কিশোর। খবর অন ইসলামের।
বসনিয়ার রাজধানী সারায়েভোর শহরতলিতে আবদুর রহমান তাবাকুয়িচ বসবাস করেন। ইসলামি কমিশনে সরকারি পরীক্ষা দেওয়ার পর তাকে বসনিয়ার সর্বকনিষ্ঠ কোরআনে কারিমের হাফেজ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
আবদুর রহমানের পিতা হামযালি তাবাকুয়িচ এ বিষয়ে বলেন, আবদুর রহমান তিন বছর পূর্বে কোরআনে কারিম পড়া শিখেছে। এর পর যখন দেখলাম তার হেফজ (মুখস্থ) করার ক্ষমতা অনেক বেশি তখন তাকে কোরআন হিফজ করার মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেই।
তিনি বলেন, আমার ছেলে তিন দিনের মধ্যে যাবতীয় রীতিনীতি ও আনুষ্ঠানিকতা মেনে পবিত্র কোরআনের প্রথম অংশের অনেকখানি মুখস্থ করে ফেলে। যা দেখে তার উস্তাদরা তার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে।
খুব দ্রুত কোরআন মুখস্থ করা প্রসঙ্গে আবদুর রহমান বলেন, পবিত্র কোরআনে কারিম হেফজ করার জন্য আমাকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হয়েছে। আমার জন্য পবিত্র কোরআনের কিছু কিছু আয়াত মুখস্থ করা বেশ কঠিন ছিল। তার পরও আমি তা সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি।
আমি হিফজ শেষ করার জন্য বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে সময় কম কাটিয়েছি। এমনকি খেলার সময়ও আমি কোরআন মুখস্থের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। অবশেষে আল্লাহর রহমতে আমি সফল হয়েছি।
হিফজ শেষ করার আগে আবদুর রহমান জানত না সে সর্বকনিষ্ঠ কোরআনের হাফেজ হতে যাচ্ছে। ইসলামি কমিশন তাকে সনদ দেওয়ার পর সে এটা জানতে পায়।
বর্তমানে পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত আবদুর রহমান ভবিষ্যতে ইসলামিক স্টাডিজে উচ্চতর ডিগ্রী নিতে ইচ্ছুক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৫
এমএ