হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে আসা সোমালিয়ার হাজিরা নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। সোমালিয়ার দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তারা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে অনীহা প্রকাশ করেন।
‘তাওয়াফা এস্টাবলিশমেন্ট ফর পিলগ্রিমস’-এর বরাত দিয়ে সৌদি গেজেট জানায়, এবার সোমালিয়া থেকে আগত মোট ৭ হাজার ২শ’ ৮০ জনের মধ্যে প্রায় ২ হাজার ২শ’ ৯২ জন হাজি এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন, যা মোট সংখ্যার শতকরা ৩১ দশমিক ৪৮ ভাগ।
সৌদি হজ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, এখানকার সরকারি শ্রম ও হজবিধি অনুযায়ী এ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আইন অনুযায়ী আগামী ১৫ মহররম বা ২৯ অক্টোবরের মধ্যে সব বিদেশি হাজিদের সৌদি আরব ত্যাগ করতে হবে। নির্ধারিত এ সময়ের মধ্যে কেউ স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ব্যর্থ হলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে আইন লংঘনের দায় আরোপিত হবে।
তবে স্বাস্থ্যগত কারণে কেউ ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দেশের হজ বিষয়ক অফিস ও পাসপোর্ট বিভাগের সঙ্গে এ বিষয়ে সুরাহা করা হবে বলে সূত্রটি জানায়।
এদিকে সোমালি হজ মিশনের প্রধান আহমদ লোকমান উপরিউক্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কিছুসংখ্যক হাজিদের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে, এটা সত্য। তবে আমরা তা ২৯ অক্টোবরের মধ্যে মীমাংসা করে ফেলবো।
তিনি আরও বলেন, তার দেশ থেকে আগত হাজির সংখ্যা ৭ হাজার ২৮০ জন নয়, বরং ৭ হাজার ৪৪০ জন এবং যা মোট সংখ্যার শতকরা মাত্র ২৬ ভাগ; ৩১ ভাগ নয়। তবে এসব হাজিকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যেই দুটি বিমান ব্যবহার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে চরম যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয় হাজিদের ক্ষেত্রেও অনুরূপ সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে তা সিরিয় ন্যাশনাল কোয়ালিশন ফর দ্য সিরিয়ান রেভুল্যশন এবং বিরোধী পক্ষের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে সে সংকটের নিরসন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৫
এমএ/