তুরস্কের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক নারী বিচারপতি হিজাব পরে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।
০৩ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ইস্তাম্বুলের একটি আদালতে ওই নারী বিচারপতি হিজাব পরে একটি মামলার শুনানি পরিচালনা করেন।
তবে ওই নারী বিচারপতির নাম প্রকাশ করা হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, ওই নারী বিচারপতি তুরস্কের স্কুল-কলেজ ও কর্মস্থলে হিজাব পরার নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন আইনি লড়াই পরিচালনা করেছেন।
তার অগোচরে মোবাইল ক্যামেরায় তোলা একটি ছবি টুইটারে ছড়িয়ে পড়ছে। বিষয়টি নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা।
কিছুদিন আগ পর্যন্ত তুরস্কে নারী বিচারপতিদের হিজাব পরিধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু চলতি বছরের ১ জুন এই নিষোজ্ঞা আইন বাতিল করেছে হাই কাউন্সিল অব জাজ অ্যান্ড প্রসিকিউটর (এইচএসওয়াইকে)। তাই এখন থেকে আদালতে শুনানির সময় তুর্কি নারী বিচারপতিরা হিজাব পরতে পারবেন। আর তা শুরু হয়েছে ০১ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত পার্লামেন্টের মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের পর।
এর আগে তুরস্কের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২১ জন হিজাব পরা নারী এমপি শপথ নিয়েছিলেন চলতি বছরের জুন মাসে।
১৯২৪ সালে পোশাক আইন প্রবর্তনের মাধ্যমে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় কাজ ও সকল আনুষ্ঠানিকতা থেকে হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ২০১৩ সালের অক্টোবরে আইনের মাধ্যমে তা ফিরিয়ে আনে এরদোগানের একে পার্টি।
অন ইসলামের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তুরস্কের ষাট শতাংশের বেশি নারী হিজাব পরিধান করে থাকেন। তুরস্কের হিজাবি নারীদের পাশাপাশি হিজাব পরেন না এমন অনেক মহিলা মনে করেন, সব দলের উচিত, হিজাবের বিরোধিতা না করে মুসলমানদের ধর্ম ও বিশ্বাসের প্রতি সম্মান দেখানো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৫
এমএ