দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম বাদশাহ সালমানের পক্ষ থেকে মক্কা অঞ্চলের প্রিন্স খালেদ আল ফয়সাল আমিরের নেতৃত্বে রোববার (৮ নভেম্বর) পবিত্র কাবা শরিফ ধৌত করা হবে। কাবা শরিফ বছরে দু’বার ধৌত করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা রীতি অনুযায়ী পবিত্র কাবা ঘর ধোয়ার কর্মসূচি পালন করা হয়। সৌদি আরবের বাদশাহ বা তার প্রতিনিধি, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা এ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে অংশ নেন।
কাবা ঘর পরিষ্কার করতে ব্যবহৃত হয় ৪৫ লিটার জমজমের পানি, খাঁটি গোলাপজল এবং উন্নতজাতের সুগন্ধি উদ ও কস্তুরি।
কাবা ঘর ধোয়ার জন্য ভেতরে প্রবেশের আগে তাওয়াফ ও দু’রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হয়। কাবা শরিফ পরিষ্কার করতে গোলাপের সুগন্ধিযুক্ত জমজমের পানি মেঝেতে ঢালা হয়, তারপর খালি হাতে খেজুর পাতা দ্বারা পরিষ্কার করা হয়। পরিষ্কার করার পর মেঝে এবং দেয়াল সাদা কাপড় এবং উন্নতমানের টিস্যু দিয়ে শুকানো হয়। কাবা শরিফ ধোয়ার সময় দুই ঘণ্টা দরজা খোলা থাকে। কারণ সম্পূর্ণ কাবা ধৌত করতে দুই ঘণ্টার মতো সময় লাগবে।
এজন্য আজ সকালে ফজরের নামাজের পর পবিত্র কাবা শরিফের দরজা উন্মুক্ত করবেন প্রধান তত্ত্বাবধায়ক শেখ সালেহ বিন যাইনুল আবিদিন আল-শিবলি।
পবিত্র কাবা শরিফ ধোয়ার কাজকে অত্যন্ত বরকতময় কাজ হিসেবে মনে করা হয়। এটি একটি উৎসবও বটে। যা শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুসরণে করা হয়। ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে যখন হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নেতৃত্বে মুসলমানরা মক্কা বিজয় করেছিল তখন তিনি মহান আল্লাহর এ পবিত্র ঘরকে ধৌত করেছিলেন।
উল্লেখ্য, এখন কাবা শরিফ ধৌত করা হলেও জিলহজ মাসের ১০ তারিখে নতুন গিলাফ পড়ানো হয়। পবিত্র কাবাকে বাইতুল আতিক বা সবচেয়ে প্রাচীন ঘর বলে অভিহিত করা হয়েছে পবিত্র কোরআনে কারিমে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৫
এমএ/