সৌদি আরবে ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় সর্বকনিষ্ঠ প্রতিযোগী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন সোমালিয়ার ৯ বছরের শিশু ‘আবদুস সামাদ ইবনে ওমর মুহাম্মদ। ’ সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা মোকাররমার কাবা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত ৩৭তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার পুরো কোরআন মুখস্থ গ্রুপে অংশ নেয় ৯ বছরের এ শিশু।
সৌদি বাদশাহর তত্ত্বাবধান ও নির্দেশনায় সৌদির আরবের আওকাফ ও ইসলামি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। কোরআনে কারিমের হেফজ, তেলাওয়াত এবং তাফসির বিভাগে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
‘মালিক আবদুল আজিজ’ নামে প্রসিদ্ধ এ প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে ০৯ নভেম্বর। তবে এখনও ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।
আন্তর্জাতিক এ কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৬৬টি দেশের ১২৪ জন ক্বারি ও হাফেজ অংশ নিয়েছেন।
প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন হাফেজ মোহাম্মদ হেলাল মারুফ। সে যাত্রাবাড়ী মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার ছাত্র।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণরা মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করার সুযোগসহ নগদ অর্থ ও সম্মাননাপত্র লাভ করবেন।
প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন, মদিনা কোরআনিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হামাদ ইবনে আলি আল সাদিস।
অন্য বিচারকরা হলেন, তায়েফ বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ব বিভাগের নাসের ইবনে সৌদ আল কাছামি, আলজেরিয়া জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম কোরআন স্কুলের প্রধান খালেদ ইবনে আলি মুহাম্মাদ দাবানি, নাইজেরিয়ার সুলতান মোহাম্মদ মাছতু কোরআন গবেষণা কেন্দ্রের অধ্যাপক মোহাম্মদ নাসের উসমান সাকতু এবং মালয়েশিয়ার ইসলামি বিষয় অনুসরণ কেন্দ্রের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আবদুল করিম জাকারিয়া হারুন।
কোরআন প্রতিযোগিতায় সর্বকনিষ্ঠ প্রতিযোগী সোমালিয়ার আবদুস সামাদ ইবনে ওমর মুহাম্মদ অন ইসলামকে বলেন, এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য পবিত্র নগরী মক্কা ও মসজিদুল হারামে উপস্থিত হতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।
আবদুস সামাদ ইবনে ওমর মুহাম্মদ পবিত্র কোরআনের হিফজ ধরে রাখার জন্য প্রতিদিন ১০ পারা করে তেলাওয়াত করে থাকেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৫
এমএ