ঢাকা: চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন মুসলিম বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ আলেম ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আবদুর রহমান। বুধবার (১১ নভেম্বর) বেলা পৌনে ১২টায় বসুন্ধরা নতুন কবরস্থানে (বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা এন ব্লক) তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে একই দিন সকাল ১০টা ১০মিনিটে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার-৫’র সামনে মুফতি আবদুর রহমানের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা নামাজ পরিচালনা করেন মুফতি আরশাদ রাহমানি। তিনি মুফতি আবদুর রহমানের বড় ছেলে।
মুফতি আবদুর রহমানের নামাজে জানাজা ও দাফনে যোগ দিতে বুধবার সকাল থেকেই দলে দলে অগণিত মানুষ এসে জড়ো হতে থাকেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়। দেশবরেণ্য এ শীর্ষ আলেমেদীনের শ্রদ্ধায় এদিন ঢাকার সব মাদ্রাসার ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) মুফতি আবদুর রহমান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৯১ বছর।
মৃত্যুর আগে তিনি দেশের প্রায় ১৮টি উত্তরাঞ্চলীয় জেলার সহস্রাধিক দ্বীনি প্রতিষ্ঠান নিয়ে গঠিত তানযীমুল মাদারিস আদ্বীনিয়্যা বাংলাদেশ (উত্তরবঙ্গ) এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি একাধারে জামিয়ার প্রধান মুফতি, সহকারী মহাপরিচালক ও শিক্ষা বিভাগীয় পরিচালকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দাওরায়ে হাদিসে সর্বোচ্চ কিতাব বোখারি শরিফের ১ম খণ্ডের পাঠদান করেন।
আল জামিয়া পটিয়ার সহকারী পরিচালক থাকাকালে তিনি দেশব্যাপি একশ’ সদস্য বিশিষ্ট ইফতা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। এ সময় তিনি ইসলামি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকিং-এর ক্ষেত্রেও অনন্য অবদান রাখেন। তিনি সুদভিত্তিক অর্থনীতির বিরুদ্ধে অতুলনীয় ভূমিকা রাখেন।
ফকিহুল মিল্লাত ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে তাঁর একটি সেবামূলক সংস্থা রয়েছে। এ সংস্থার মাধ্যমে তিনি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অসংখ্য মসজিদ, মাদরাসা, মক্তব, হেফজখানা প্রতিষ্ঠা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৫
আরইউ/আরএইচ
** মুফতি আবদুর রহমানের জানাজায় অগণিত মানুষ
** মুফতি আবদুর রহমানের জানাযা সকাল ১০টায় বসুন্ধরা কেন্দ্রীয় মসজিদে